নিখোঁজের ৩৮ ঘণ্টা পর খালে মিলল মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ

সাতকানিয়ার ইছামতি

সাতকানিয়া প্রতিনিধি ম | রবিবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়ায় নিখোঁজের ৩৮ ঘণ্টা পর খাল থেকে এক মাদ্রাসা ছাত্রের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে সাতকানিয়া পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের চরপাড়া এলাকায় ইছামতি খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম ইয়াছিন আরাফাত (১৩)। সে একই ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের পুত্র। ইয়াছিন সাতকানিয়া খালিদ বিন ওয়ালিদ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে ইয়াছিন মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ ছিল। পরিবার ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। শনিবার (গতকাল) সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন সাতকানিয়া পৌরসভার চরপাড়া এলাকায় ইছামতি খালের কসাইপাড়া ব্রিজের নিচে একটি লাশ ভাসমান অবস্থায় আটকে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করেন। সেখানেই পরিবারের সদস্যরা লাশটি মাদ্রাসার ছাত্র ইয়াসিন আরাফাতের বলে শনাক্ত করেন।

নিহত কিশোরের চাচা মো. মহিউদ্দিন মিন্টু বলেন, আমার ভাইয়ের পরিবার ঢাকায় বসবাস করতো। মাসখানেক আগে তারা গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। এরপর ১০১২ দিন আগে ছেলে ইয়াছিনকে খালিদ বিন ওয়ালিদ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করে দেন। ভর্তি করানোর পর কয়েকদিন আগে মাদ্রাসা থেকে ‘পালিয়ে’ গিয়েছিল। পরে খোঁজে বের করে আবারও মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সে নিখোঁজ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ‘মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে খালের পানিতে ঝাঁপ দিয়েছিল সে। সাঁতার না জানার কারণে ডুবে মারা গেছে।’

সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে খাল থেকে মাদ্রাসা ছাত্রের ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে আপাতত কোনো অভিযোগ নেই। তারপরও ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর ছাত্রটির মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভালো নেই চট্টগ্রামের নদীগুলো দখল দূষণ ভরাট
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম কাস্টম হয় অটোমেশন করেন, নয় ম্যানুয়ালে ফিরে যান