নিখোঁজের ১৬৬ দিন পর সৌদিতে লোহাগাড়ার যুবকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

লোহাগাড়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৯:৪৫ অপরাহ্ণ

নিখোঁজের ১৬৬ দিন পর সৌদি আরবের আবাহা মাহাইল এলাকা থেকে মোহাম্মদ আলী (৫০) নামে লোহাগাড়ার এক যুবকের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে (সৌদি সময়) সেখানকার একটি পরিত্যক্ত ভবনে তার মরদেহ পাওয়া যায়। মোহাম্মদ আলী উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জিএম সিকদার পাড়ার আবদুস সোবহান প্রকাশ আবদুল্লাহর পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক। একইদিন রাতে সেখানকার পুলিশ আকামা কার্ডে থাকা পরিবারের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে তার মৃত্যুর খবর জানতে পারেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত মোহাম্মদ আলী মাহাইল এলাকায় ব্যবসা করতেন। ২০২৩ সনের ২২ আগষ্ট তিনি নিখোঁজ হন। এরপর সেখানকার পরিচিতজনেরা তাকে সম্ভাব্যস্থানে খোঁজাখুজি করেন। পরে তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে সেখানকার স্থানীয় থানায় লিখিতভাবে জানান।

ইউপি সদস্য জানান, গত বুধবার মাহাইলে একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিচ তলা থেকে লোহা চুরির ঘটনা ঘটে। পরে ভবনের মালিক কয়েকজন চোরকে আটক করে সেখানকার থানা পুলিশকে খবর দেয়। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি তদন্ত করেন। এই সময় দুর্গন্ধ পাওয়ায় পুলিশ ভবনের দ্বিতীয় তলায় যান। সেখানে একটি রুমের ভেতর একটি গলিত মরদেহ দেখতে পান। পরে তল্লাশী করে পুলিশ মোহাম্মদ আলীর আকামা কার্ড পেয়ে মরদেহ সনাক্ত করেন। প্রায় ১০ বছর পূর্বে মোহাম্মদ আলী শেষ বারের মতো দেশে এসেছিলেন। সেখানে লেনদেন জনিত সমস্যার কারণে তিনি দীর্ঘদিন দেশে আসতে পারেননি। তার কফিলের সাথেও দ্বন্দ্ব ছিল বলে পরিবার সূত্রে জেনেছেন। এছাড়া নিহত মোহাম্মদ আলীর মরদেহ সেখানে দাফনের ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সকল ধরণের সহযোগিতা করা হবে।

নিহতের স্ত্রী পারভিন আক্তার জানান, তার স্বামী দেশে আসতে না পারলেও পরিবারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তার স্বামীকে কে বা কারা হত্যা করে লাশ গুম করতে পরিত্যক্ত ভবনে রেখে দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে তিনি তার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার কেঁড়ে নিলো বৃদ্ধার প্রাণ
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়ায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ৩জনের বিরুদ্ধে পৌর মেয়রের মামলা