বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব টেমাপাড়ায় ঘরের কাছে মাটি খুঁড়ে আশরাফ মিয়া (৬০) প্রকাশ আশরাফ ফকিরের লাশ গতকাল রোববার সকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ওই এলাকার মৃত মোহাম্মদ ফরিদের পুত্র। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পারিবারিক বিরোধের পর শুক্রবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. সোহানুর রহমান সোহান ও বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ জানায়, আশরাফ ফকিরের লাশ জায়নামাজ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। হাত ও পা বাঁধা ছিল। এছাড়া মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। পারিবারিক বিরোধের জেরে এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
ঘটনার ব্যাপারে স্থানীয়রা ও ইউপি সদস্য মোহাম্মদ লোকমান জানান, গতকাল সকালে আশরাফ ফকিরের বাড়ির ৬০/৭০ ফুট দূরে নতুন ভরাটকৃত মাটি দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হল। তারা মাটি খুঁড়ে লাশ দেখতে পান। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে। এর আগে শুক্রবার থেকে আশরাফ ফকির নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কোনো ডায়েরি করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পরিবারের সদস্যদের সাথে আশরাফ ফকিরের ঝগড়া হয়। এরপর শুক্রবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সংসারে তার ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে মোহাম্মদ পারভেজ (২২) বিদেশ থাকেন। ছোট ছেলে মোহাম্মদ রাশেদ (২০) বাড়িতে থেকে ক্ষেত খামার ও বাড়ির প্রয়োজনীয় কাজ করেন। এলাকার সবার মাঝে একজন সাধারণ ও সহজ সরল মানুষ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে নিহতের স্ত্রী নুর আয়েশা (৫০) ও ছেলে মো. রাশেদ (২০)কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হাওলাদার বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রির্পোট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।












