নিউজিল্যান্ডের ক্যান্টারবেরি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সমিতি ২১শে ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং ক্রাইস্টচার্চের বিভিন্ন সমপ্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে ভাষাগত বৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উদযাপন করেন।
বিএসএইউসি এর সাধারণ সম্পাদক ও ক্যান্টারবেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের পিএইচডি গবেষক আসিবুর রহমানের নেতৃত্বে এই আয়োজনটি মাতৃভাষার অধিকারের জন্য প্রদত্ত আত্মত্যাগের স্মরণ করিয়ে দেয় এবং ভাষার সংযোগমূলক শক্তির গুরুত্বকে তুলে ধরে। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে, যা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে। সন্ধ্যার আয়োজনে মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ছিল, যা বাংলা সংস্কৃতির ঐশ্বর্য ও ভাষার সার্বজনীনতা তুলে ধরে। আরঙ্গজেব ও তার দলের কণ্ঠে সমবেত সংগীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আবেগঘন সূচনা হয়। উমায়েরের আবৃত্তি ‘আমাদের এই বাংলাদেশ’ এবং ইযহান কবিরের ‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে’ দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও আবেগ প্রকাশ করে। ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ফেলো ড. এস. এম. আকরামুল কবির “বাংলা ও ইংরেজি ভাষার দ্বান্দ্বিক বিশ্লেষণ : মিথ ও বাস্তবতা” বিষয়ে একটি চিন্তাশীল বক্তব্য দেন। ক্যান্টারবেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের আরেক পিএইচডি গবেষক মোহিত সিং ঠাকুন্না মাতৃভাষার গুরুত্ব এবং আমাদের শেকড়ের সাথে সংযোগ রক্ষায় এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। রিকার্টন হাই স্কুলের প্রাক্তন ইংরেজি ভাষা শিক্ষা (ঊঅখ) বিভাগের প্রধান জুলিয়েট ফ্রাই ভাষার রূপান্তরকারী শক্তি ও শিক্ষায় এর ভূমিকা নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। আকারোয়া স্যামন লিমিটেডের সহকারী উৎপাদন ব্যবস্থাপক ড. সাঈদ আহমেদ তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।