নাশকতা : বাধ্য হলে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের হুঁশিয়ারি ডিএমপির

| সোমবার , ৫ আগস্ট, ২০২৪ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় থানা ও পুলিশের স্থাপনায় হামলা এবং সহিংসতায় প্রাণহানির পরিপ্রেক্ষিতে বাধ্য হলে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনের ‘সর্বোচ্চ ক্ষমতা’ প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশডিএমপি। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ডিএমপির কমিশনার হাবিবুর রহমান। খবর বিডিনিউজের।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সর্বাত্মক অসহযোগের প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকার ১৯টি থানাসহ পুলিশের ২৬টি স্থাপনায় হামলা হয়েছে। এসব হামলার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হামলাটি হয়েছে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায়। সেখানে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ১৩ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশের এক সদস্যসহ গতকালের হামলায় বাহিনীটির ১৪ সদস্য নিহত হয়েছেন। এক দিনেই দেশজুড়ে আহত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা তিনশ ছাড়িয়ে গেছে। এ অবস্থায় নাশকতাকারী, অগ্নিসংযোগকারী ও পুলিশ হত্যাকারীদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাধ্য হলে তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপি আইনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে বাধ্য হবে। কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল সেখানে আন্দোলনকারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে দুর্বৃত্তরা। তারা ঢাকাসহ সারা দেশে নজীরবিহীন অরাজকতা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালিয়েছে।

সারা দেশে আন্দোলনের নামে ব্যাপক তাণ্ডব চালানোর বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, শাহবাগ, জাতীয় প্রেস ক্লাব, বাংলামোটর, মোহাম্মদপুর, কাজলা, উত্তরাসহ বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ ও নজীরবিহীন সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। সন্ত্রাসী তৎপরতার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, তারা রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল, বোমাসহ সমবেত হয়ে নিরীহ জনগণ ও পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। তাদের নারকীয় তাণ্ডবের হাত থেকে রেহাই পায়নি দেশের চিকিৎসাসেবার প্রাণকেন্দ্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও। সন্ত্রাসীরা রাজধানীর সিএমএম আদালতেও হামলা করেছে। তাদের নাশকতামূলক কার্যকলাপ নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে তারা কেউই ছাত্র নয়, তারা সন্ত্রাসী, তারা জঙ্গি।

আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে যে কোনো ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান রেখেছে হাবিবুর রহমান বলেন, কারফিউ চলাকালীন কেউ বিনাপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবেন না। যারা কারফিউয় ভাঙবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বিস্তারে কাজ করছে আনজুমানে রহমানিয়া
পরবর্তী নিবন্ধ৩ দিন ব্যাংক বন্ধ