চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে নালায় পড়ে কলেজছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কেউই দায় স্বীকার করেনি। তবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তদন্ত রিপোর্ট বলছে, সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় সিডিএর ফুটপাত সংস্কারের সময় নালার উপরের অংশ সংস্কার করে অথবা নালাটির সম্মুখ অংশ সুরক্ষিত করে এই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব ছিল।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় এমন অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
গত বছরের ২৫ আগস্ট মুরাদপুর এলাকায় খালে পড়ে তলিয়ে যান সালেহ আহমদ। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদে নবী টাওয়ারের কাছাকাছি নাছিরছড়া খালে পড়ে তলিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া। পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় তার লাশ উদ্ধার হয়। ১৯ অক্টোবর এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে ২৫ নভেম্বর হাই কোর্টে সাদিয়ার মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করে সাদিয়ার পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট রুল জারি করেন। পাশাপাশি কার অবহেলায় সাদিয়ার মৃত্যু, তা অনুসন্ধান করে হাই কোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সে অনুসারে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার তানভীর হাসান চৌধুরীকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেন। অনুসন্ধান শেষে এ প্রতিবেদন হাই কোর্টে দাখিল করা হয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, প্রতিবেদটি দাখিলের পর আদালত নথিভুক্ত করে রেখেছেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আদালত আদেশ দেবেন।