জীবনের গভীর উপলব্ধি ধরা দিয়েছে কবি রুমি চৌধুরীর কবিতায়। প্রতিটি কবিতায় সাবলীল শব্দচয়নে তিনি তুলে এনেছেন প্রেম–বিরহ ও সামাজিক ঘটনাপ্রবাহ, বুদ্ধির ঔজ্জ্বল্যে। তাঁর কবিতা গীতিময়তায় ঋদ্ধ। প্রতিটি কবিতায় ফুটে উঠেছে জীবনের গভীর উপলব্ধি; আশা ও বেদনায় এবং স্মৃতিকাতরতায় পাঠকের কাছে কবিতাগুলো আবেদন হয়ে উঠেছে সার্বজনীন। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম শহরের কদম মোবারকস্থ নারীকণ্ঠ পত্রিকা–আয়োজিত কবি রুমি চৌধুরীর ‘মখমলি গোধূলি’ কাব্যের আলোচনা–অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ কথা বলেন নারীকণ্ঠের প্রধান সম্পাদক সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ তহুরীন সবুর ডালিয়া। চন্দ্রবিন্দু–প্রকাশিত ‘মখমলি গোধূলি’ কাব্য–সম্পর্কে অধ্যাপক সালমা রহমান তাঁর আলোচনায় বলেন, মখমলি গোধূলি বইটি পাঠককে টেনে রাখবে। বিষয়বস্তুর ভিন্নতা এটিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। আধুনিক কবিতার সকল বৈশিষ্ট্য এতে লক্ষ করা যায়। নারীকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক শাহরিয়ার ফারজানার সভাপতিত্বে ও গল্পকার আহমেদ মনসুরের উপস্থাপনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য উপস্থাপন করেন গল্পকার বিচিত্রা সেন, সাহানা আখতার বীথি, আক্তার বানু ফ্যান্সী ও শর্মিষ্ঠা চৌধুরী। কবি রুমি চৌধুরী তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মনের আনন্দের জন্য লেখালেখি করি। আজ আমি অনেক খুশি হয়েছি। নারীকণ্ঠকে অশেষ ধন্যবাদ আমার বইটি নিয়ে এরকম একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য। আলোচনা–অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারীকণ্ঠ পত্রিকার উপদেষ্টা ও সদস্য মণিদীপা দাশ, মহুয়া চৌধুরী, কানিজ ফাতেমা, নারীকণ্ঠ স্বপ্নডানারর সদস্য তৃষা দে প্রমুখ।