নারীর কল্যাণে জগত জীবন হয় সুন্দরের বসুন্ধরা। মা জন্মদাত্রী, বউ গৃহদাত্রী। মায়ের পরখে পলকে হয়ে উঠে সংসার ও জীবনমুখী জীবনের স্বাদ। আর সন্তান বড় হলে বউ আসে নতুন রূপ দিতে। সব কর্মে গৃহিনীর ছোঁয়া হয়ে উঠে পরিপাটি ও অসাধারণ সুখনীয়– যা আলোড়িত করে। মহিমান্বিত হয় পুরো পরিবার।
মা আর বউ দুইজন দুই মেরুর। বউ কি ডাস্টবিনের ময়লা? মন চাইলে ছুঁড়ে ফেলা যায়? পুরুষের মাঝে বিশ্বস্ততা খুঁজে, তা বলে কি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে এমন অশোভনীয় কথা বলা যায়? দুজনের তুলনা মূর্খতা ছাড়া কিছুই না। মা দশ মাস দশদিনের দুর্দান্ত কষ্ট ধারণ করে পৃথিবীর মুখ দেখায়, পাঠ দেয়। মা নেকড়ের মত ভয়ানক হতে পারে না কখনো। মা মায়াবতী শান্তির নির্যাস। আর সেই সামান্য অর্থ সম্পদের জন্যে সেই মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাই? সন্তান হয়েও মাকে হত্যা করি (সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলার সংবাদে তা উঠে আসছে।)
হায়রে বিচিত্র টানাপোড়েন। আমরা মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলছি। আর স্ত্রী পরিপূর্ণতার প্রতীক। যাকে ছাড়া পুরো সংসারেই অচল। পরিপূর্ণতার প্রয়োজনে প্রতিটি রন্ধে গন্ধে লেগে থাকে তার আন্তরিক ছোঁয়া। ছুটিহীন তার সকল প্রচেষ্টায় লেগে থাকে ভালোবাসার সফল কর্ম ক্ষমতা। তার উদীপ্ত বাসনায় হাসি ও সফলতার দেখা মিলে পরিবারে সকলের মুখে মুখে। সবার বোধ শানিত হোক, বিশ্বাসের মূল্য যথোপযুক্ত হোক।