চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ বাড়ছে প্রতিদিন। প্রার্থীরা যখন প্রচার–প্রচারণায় ব্যস্ত, ঠিক তখনই নারী প্রার্থীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, স্লাট শেমিং ও সাইবার বুলিং শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের দুই নারী প্রার্থী এই হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। গতকাল রোববার চাকসু নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিনের নিকট এ অভিযোগ দাখিল করা হয়। এ সময় চবি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ পারভেজ ও অর্থ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রশিবির সমর্থিত সমপ্রীতির শিক্ষার্থী জোট প্যানেলে সহ–দপ্তর সম্পাদক পদে জান্নাতুল আদন নুসরাত ও নির্বাহী সদস্য পদে জান্নাতুল ফেরদাউস সানজিদা নির্বাচন করছেন।
লিখিত অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত কপিতে দেখা যায়, মেহেদী হাসান শরিফ নামের একটি আইডি থেকে কমেন্ট করা হয়েছে, ‘ভিডিও সার্ভিস দিতাছে শুনলাম।’ রোহান খান নামের একটি আইডি থেকে লেখা হয়েছে, ‘শিবিরের প্রিয় দাসী।’ আর ‘গল্প জীবনের’ নামের একটি আইডি থেকে মন্তব্য এসেছে, ‘জাহান্নামী খুর, শিবিরের যৌন সাথী।’
অভিযোগে দুই নারী প্রার্থী উল্লেখ করেন, চাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমপ্রতি বিভিন্ন বট আইডি, ভুয়া ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে নারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য, স্লাট শেমিং, ট্যাগিং ও ভুয়া ফ্রেমিং করা হচ্ছে। এসব কার্যকলাপ নারী প্রার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকেও কলুষিত করছে।
চবি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, আমাদের নারী প্রার্থীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হচ্ছে। এসব অশোভন আচরণ কেবল তাদের সম্মানহানিই করছে না, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশকেও দূষিত করছে। আমরা এর বিচার চাই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে দুই নারী প্রার্থী লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। আমরা অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।