এক নারী চোখের ইশারায় ভুক্তভোগীকে ডাকেন। এরপর অসামাজিক কাজের ফাঁদে ফেলে নির্জন স্থানে নিয়ে কয়েকজন মিলে হাতিয়ে নেয় মোবাইল, টাকা। জিম্মি করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও আদায় করা হতো টাকা। চট্টগ্রাম নগরীতে দীর্ঘদিন ধরে এভাবে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
গত বুধবার রাত ২টায় নগরীর পাঁচলাইশ, বায়েজিদ ও চাঁন্দগাও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো চক্রটির মূলহোতা মো. সজিব (২২), সাকিব (২১) ও সুমন (২০)।
পাঁচলাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান আজাদীকে বলেন, নগরীতে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র নারীদেরকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করছে। সেই টোপ দিয়ে টার্গেট করা ব্যক্তিদের অপহরণ করে চাঁদা দাবি করে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় ভিকটিমদের কেউ আইনগত প্রতিকার চাইতেন না। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর মো. মহসিন নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে ১ লাখ টাকা দাবি করে এ চক্র।
পরে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে তার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা আদায় করে। একই প্রক্রিয়ায় খোকা মারমা নামে আরেক ব্যক্তিকে মুরাদপুর থেকে অপহরণ করে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা আদায় করে। গত বুধবার রাত ২টায় নগরীর পাঁচলাইশ, বায়েজিদ ও চাঁন্দগাও থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের মূলহোতাসহ ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অপহরণের শিকার মো. মহসিন ও খোকা মারমা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, এই চক্রটির মহিলা সদস্য টার্গেট করা ব্যক্তিকে চোখের ইশারায় অথবা মোবাইল নিয়ে কথা বলার নাম করে অসামাজিক মেলামেশার প্রস্তাব দিয়ে সিএনজিতে করে নির্জন স্থানে যেতে প্রলুব্ধ করে। সিএনজিতে তোলতে পারলে পথে তাদের অন্যান্য সদস্য সিএনজিতে ওঠে ভিকটিমকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর ভিকটিমকে সবাই মিলে মারধর করে চাঁদা দাবি করে। পরে বিকাশ অথবা নগদের মাধ্যমে চাঁদার টাকা আদায় করে।