বাংলাদেশ নার কি্রকেট দলের ক্রিকটোরদের স্কিলের ঘাটতি খুব একটা দেখছেন না দলটির কোচ হাশান তিলাকারাত্নে। তবে মানসিকতা ও ফিটনেসের দিক থেকে পিছিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। মেয়েদের ক্রিকেটে ব্যাটিং ব্যর্থতা সবসময়ই বাংলাদেশের মাথা ব্যথার জায়গা। গত বছর ঘরের মাঠে এশিয়া কাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর কোচ বদলেও উন্নতি হয়নি ব্যাটিং পারফরম্যান্সের। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর পরও সেটিকে বড় ইনিংসে রূপ দিতে পারছেন না মুর্শিদা খাতুন, শারমিন আক্তার, ফারজানা হক, নিগার সুলতানারা। রুমানা আহমেদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ফর্ম হারিয়ে দলের বাইরে। দলে অনিয়মিত শামীমা সুলতানা। ব্যাটিং তাই একটি বড় চিন্তার কারণ। ওরা উইকেটে সেট হয়ে আউট হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো সেট হওয়া। ভালো শুরু পাওয়ার পর, উইকেট ছুঁড়ে আসা উচিত নয়। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১০৩ রান। ওই সময় দূর্ভাগ্যবশত ফারজানা হক পিংকির উইকেট আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। তাই আমরা ব্যাটিং নিয়ে ভাবছি। বড় চিন্তার জায়গা হলো অনেক বেশি ডট বল খেলা। এছাড়া প্রথম পাওয়ার প্লেতেও আমরা অনেক পিছিয়ে থাকছি। আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমি নিশ্চিত তারা পরের ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে। যেমন আগের দুই ম্যাচে মুর্শিদা ভাল করলেও দলকে টানতে পারেনি। সে প্রসঙ্গ টেনে দলের কোচ বলেন মুর্শিদা আমাদের দলে টেকনিক্যালি শুদ্ধ ব্যাটারদের একজন। প্রথম ম্যাচে সে ভালো শুরু পাওয়ার পর সে উইকেট ছুঁড়ে এসেছে। এসব জায়গা ধরেই আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। এসবের উন্নতির জন্য তাদের ওপর ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা সেই সময় বিনিয়োগ করছি। আমি নিশ্চিত তারা ভালো করবে। ইনিংস বড় করতে না পারা অবশ্য শুধু ফারজানা–মুর্শিদার ব্যক্তিগত সমস্যা নয়। অথবা এই ম্যাচ বা এই সিরিজ থেকেই নয় এই ঘাটতি। ২০২১ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১৮টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। এই সময়ে ৬টি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলতে পেরেছেন ব্যাটাররা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫৬ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ফিফটি ২৬টি। সেঞ্চুরির কাছে যেতে পারেননি এখনও একজনও। ২০১৩ সালের ভারত সফরে সালমা খাতুন ও রুমানা আহমেদের ৭৫ রান এখনও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। চলতি বছর তিন ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটারদের নেই কোনো ফিফটি। ব্যাটারদের বড় ইনিংস খেলতে না পারার পেছনে মূল সমস্যার জায়গাটা ধরতে পেরেছেন তিলাকারত্নে। আমার মনে হয়, ব্যাটাররা টেকনিক্যালি ভালো। কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায়, তারা যে টেকনিক্যালি ভালো। তবে তাদের মানসিকতা বড় ইনিংস খেলার জন্য প্রস্তুত নয়। তাদের সঙ্গে এটি নিয়ে কাজ করতে হবে। এছাড়া ফিটনেসও গড়পড়তার নিচে। আমাদের এখন নতুন ট্রেনার এসেছে ইংল্যান্ড থেকে । সে কাজ করছে। এই সিরিজের পর একটা ৬ সপ্তাহের ফিটনেস ক্যাম্প হবে। আমি নিশ্চিত তাদের ফিটনেস ঠিক হবে।