ফটিকছড়িতে মো. ইউনুস প্রকাশ দুদু মিয়া (৬১) নামে এক বৃদ্ধকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুদু মিয়া ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। গতকাল শনিবার পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহমান টেন্ডলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় দুস্কৃতকারী মো. করিম (৪৪) নামে এক যুবক ওই বৃদ্ধের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। আহত বৃদ্ধকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত ইউনুস ওই এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে। অপরদিকে, অভিযুক্ত করিম একই এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, করিম সবসময় সবার সাথে কোনো না কোনো ঝামেলায় জড়ায়। সে বিভিন্ন সময় মেয়ে নিয়ে এসে বাড়িতে তার বউ বলে পরিচয় দেয়। নেশা করে সবাইকে অত্যন্ত খারাপ ভাষায় গালাগাল করে। মূলত একই বাড়িতে দুই সমাজ হওয়ায় এসব অপকর্ম করে সে বারবার পার পেয়ে যায়। অন্যদিকে, এসব অপরাধমূলক কাণ্ড ঘটিয়ে তার বউকে বাদি বানিয়ে বাড়ির লোকজনকে মামলা দিয়ে হয়রানিও করে।
আব্দুর রহমান টেন্ডল বাড়ি একতা সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন বলেন, করিম একজন সন্ত্রাসী। সে তার নিজের মায়ের ওপরও একাধিকবার নির্যাতন চালিয়েছে। এছাড়াও এখন পর্যন্ত করিম ৪–৫জন মেয়েকে তার বউ বলে ঘরে রেখেছিল। এগুলো কেউ দমাতে পারেনি। এভাবে একটা সমাজ চলতে পারে না। তার উপযুক্ত শাস্তি হতে হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী হাছিনা আক্তার বলেন, করিম সকালে ইউনুস কাকুকে মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দিয়ে সেখানেও মারতে থাকে। এরপর আমি চিৎকার করলে করিম পালিয়ে যায়।
একইবাড়ির বাসিন্দা মো. আলী, শাহাবুদ্দিন, সেকান্দর, মুন্সিসহ আরো অনেকে বলেন, করিম কিছুদিন পর পর বাড়িতে এসে একটা ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এভাবে আর মেনে নেয়া যায় না। তার সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিৎ।
এদিকে অভিযুক্ত করিমের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, করিম অনেকবার আমাকেও মেরেছে। সে আমাদের কাউকে শান্তি দিচ্ছে না। তার জন্য আমি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছি। করিম এবং করিমের বউয়ের বিচার হোক সেটা আমিও চাই। ঘটনার বিষয়ে জানতে করিমকে বাড়িতে না পাওয়ায় তার বক্তব্যও জানা যায়নি।
ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য এ পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আরেফিন আজিম বলেন, আহত ব্যক্তির মাথায় অনেকটা অংশ গভীরভাবে কেটে গেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা সেলাই দিতে পারিনি। তাই চমেকে পাঠানো হয়েছে।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত করিমকে পাওয়া যায়নি। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।