ফটিকছড়ির পাইন্দং ইউনিয়নের ডলু এলাকায় টিলার মাটি কাটার অপরাধে নাদের খাঁনের মালিকানাধীন ডলু নার্সারিকে ১লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম কামরুল ইসলাম। এ কাজে সহায়তা করেছে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ।
উপজেলা প্রশাসন জানতে চাইলে নার্সারির মালিক নাদের খাঁন বলেন, ‘আমরা পাহাড় বা টিলা কাটছি না। বরং প্রাকৃতিক পরিবেশকে অক্ষুণ্ন রেখে পরিকল্পিত বনায়ন করছি; যেখানে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত ট্যুরিজম পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ বাগানও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নার্সারির সর্বমোট ১৪.৯ একর জায়গার মধ্যে আমরা রাস্তার পাশের টিলার মাত্র ২০ শতকের মত অংশ এখানে ড্রেসিং করে মাটির উঁচু–নিচু অংশ সমান করছি।’ এ ব্যাপারে এসিল্যান্ড এটিএম কামরুল ইসলাম বলেন, পুরো নার্সারি এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। রাস্তার পাশে টিলার কিছু অংশ অনুমোদন ছাড়া ড্রেসিংয়ের আলামত পাওয়া গেছে। বিবাদী অপরাধ স্বীকার করায় সার্বিক বিবেচনায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এর আগেও অবৈধভাবে টিলা কেটে জলাশয় খনন করায় পেডরোলো গ্রুপের চেয়ারম্যান নাদের খানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।
থানা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি রাতে ভূজপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন নারায়ণহাট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর। হালদা ভ্যালি চা বাগানে ওই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির রহমান সানি। এ সময় টিলা কাটা প্রমাণিত হওয়ায় বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মহসিনকে এক বছর এবং এস্কেভেটর চালক গৌতমকে এক মাসের সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।