চোখের আড়ালে যেতে যেতে কবির সমাধিও অনন্তের পথে
ধাবমান– পত্রিকার পাতায় কবিভক্তের আকুতি,
‘অযত্ন অবহেলায় নিশ্চিহ্ন হতে চলা নাতিকের শেষ
স্মৃতিচিহ্নটুকু আমরা কি পারি না বাঁচিয়ে রাখতে?’
খবরের আদ্যোপান্ত পড়ে কেমন এক ভাবনার ঘোর
পেয়ে বসে, সুদূর লক্ষ্ণৌ থেকে চট্টগ্রাম…
কেমন করে আসলেন কবি ঠিক এখানেই
চিরনিদ্রা দিবেন বলে? কে ছিলো তাঁর পাশে তখন?
পক্ষাঘাতগ্রস্ত কবি কি ফেলে আসা লক্ষ্ণৌ
জীবনটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে–
আর একটিবারের জন্য আলিঙ্গন করতে চেয়েছিলেন?
কবিতায় বেঁচে থাকে কবি; তবুও, সমাধির নামফলক
ছুঁয়ে শিহরিত হয় কবিভক্ত– কবিকেই বুঝি শ্রদ্ধাবনত কুর্নিশ!
স্মৃতিচিহ্নটুকুও কেড়ে নিতে চায় অজানা প্রজন্ম;
স্মৃতিচিহ্নটুকুর জন্যই ব্যাকুল হয় সুদূরের প্রজন্ম!
ভাবনার ঘোর কাটে এক সময়–কেমন করে বেঁচে থাকে
কবি থেকে কবি ও কবিভক্ত? – সমাধির নামফলকে
উঠে আসে নতুন কোনও নাম– কবি কিংবা না–কবি!
তবুও কবি নাতিক লক্ষ্ণৌভীর নাম বেঁচে থাকে
কবিভক্তের আরাধনায়!