নাজমুল একাদশের শুভ সূচনা

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ১২ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:১০ পূর্বাহ্ণ

মাহমুদউল্লাহ একাদশের দেয়া ১৯৭ রানের লক্ষে খেলতে নেমে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় চাপে পড়ে গিয়েছিল নাজমুল একাদশ। তবে দেখেশুনে খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন দুই তরুণ ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর ও তৌহিদ হৃদয়। এ দুই ব্যাটসম্যানের জোড়া ফিফটিতে প্রেসিডেন্টস কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাদশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে নাজমুল শান্ত একাদশ।
রান তাড়া করতে নেমে ইতিবাচক শুরু করেছিলেন নাজমুল একাদশের সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। দুজনের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। সাইফ ১৭ ও সৌম্য ২৭ রান করেন। তিন নম্বরে অধিনায়ক নাজমুল শান্তর ইনিংস থামে ২৮ রানে। কিছুই করতে পারেননি অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম (১) ও সম্ভাবনাময় তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব (৪)। মাত্র ৭৯ রানের মধ্যে শুরুর পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় নাজমুল একাদশ। ঠিক তখনই প্রতিরোধ গড়েন তৌহিদ ও শুক্কুর। দলের জয় নিশ্চিত করা জুটিতে দুজন মিলে যোগ করেন ১০৫ রান। ব্যক্তিগত ফিফটি করেন দুজনই। দলীয় ১৮৪ রানের সময় লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বোলিংয়ে আউট হন তৌহিদ, খেলেন ৬৭ বলে ৫২ রানের ইনিংস। যেখানে ছিল দুটি করে চার ও ছয়ের মার। তৌহিদ ফিরে গেলেও অপরপ্রান্তে অবিচল থাকেন শুক্কুর। নাঈম হাসানকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে হাসিমুখেই ডাগআউটে ফেরেন তিনি। শেষপর্যন্ত ৭৮ বলে ৬ চারের মারে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন শুক্কুর। ইনিংসের ৪২তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন নাঈম হাসান। তিনি অপরাজিত থাকেন ৭ রান করে। এর আগে টস হেরে প্রথম ব্যাট করতে যাওয়া মাহমুদউল্লাহর দল করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান (৪৭.৩ ওভার)। সর্বোচ্চ স্কোরার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (৮২ বলে ৫১)। দ্বিতীয় সর্বাধিক ৪০ রান আসলো ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে। এছাড়া ওপেনার নাইম শেখ (১১), লিটন দাস (৯), মুমিনুল (০), নুরুল হাসান সোহান (১৪) আর সাব্বির (২৮ বলে ২১)- কেউই তিরিশের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। নাজমুল হোসেন শান্তর দলের বোলিংটাও কিন্তু খারাপ হয়নি। তিন পেসার তাসকিন (১০-০-৩৭-২), আল আমিন হোসেন (১০-১-৪০-২) আর মুগ্ধ (৯-০-৪৪-২) সবাই যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। প্রত্যেকের ঝুলিতে দুটি করে উইকেটও পেয়েছেন। এছাড়া অফস্পিনার নাইম হাসানের ঝুলিতে জমা পড়েছে এক উইকেট (১০-১-৩৯-১)। লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন (৮-০-৩৩-০) উইকেট পাননি। শেষ দিকে তিন বলে এক উইকেট শিকারী স্লো মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহায়দ্রবাদকে হারাল রাজস্থান
পরবর্তী নিবন্ধজেলার ফুটবলের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই নিলেন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন