বায়েজিদের নাগিন পাহাড় সাবাড় করার প্রমাণ পেয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল শনিবার নাগিন পাহাড় কেটে সাবাড় করা হচ্ছে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছেন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরফাত ছিদ্দিকী। ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে ভূমিদস্যুরা গা ঢাকা দেয়।
সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ১০ একর আয়তনের নাগিন পাহাড়ে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড়ি ভূমি রয়েছে। আগে বিভিন্ন সময় দেড় একরের মতো পাহাড় কেটে বহুতল ভবনসহ আবাসিক এলাকা তৈরি করা হয়েছে। বাকি পাহাড়টুকুও কেটে সমান করে ফেলা হচ্ছে। রাতে দিনে নাগিন পাহাড় সাবাড় করার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক আজাদী। গতকালও ভূমিদস্যুরা পাহাড় কাটছিল। গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরফাত ছিদ্দিকী গতকাল অভিযানে যান। কিন্তু তিনি পৌঁছার আগেই স্থানীয় ভূমিদস্যুরা গা ঢাকা দেয়। তবে ম্যাজিস্ট্রেট পাহাড়টি সাবাড় করার প্রমাণ পেয়েছেন। কাট্টলী সার্কেল ভূমি সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরফাত ছিদ্দিকী বলেন, আমরা গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়েছি যে এখানে পাহাড় কাটা হয়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেয়েছি। কোনো আসামিকে পাইনি বিধায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যায়নি। তিনি বলেন, পাহাড় কেটে সমতল করা হয়েছে। টিনশেড ঘর তৈরি করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। আমরা অস্থায়ী ঘরগুলো উচ্ছেদ করেছি। পাহাড়টির উপর প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে পাহাড় কাটার সংবাদ পেলে আমরা আবারো অভিযান পরিচালনা করবো।