নাগরিক জীবনে বিঘ্ন ঘটানোর সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না

মতবিনিময় সভায় সিএমপি কমিশনার

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ

পবিত্র মাহে রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, আইন শৃংখলাসহ নাগরিক জীবনে বিঘ্ন ঘটানোর সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না। তিনি যানজট, ছিনতাই, অবৈধ মজুতদারি ও চাঁদাবাজি রোধকল্পে ওয়ার্ড ভিত্তিক তালিকা তৈরি করে সিটিজেন ফোরাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ করে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য থানা ও ট্রফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকল ইউনিট প্রধান এবং সকল পুলিশ সদস্যকে নির্দেশনাও প্রদান করেন।

তিনি বলেন, রমজানে সবকটি বড় মার্কেটে পুলিশি প্রহরা থাকবে এবং নারী ছিনতাইকারীর তৎপরতা প্রতিরোধে নারী পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে প্রতিটি মার্কেটে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ স্ব স্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্যও তিনি আহ্বান জানান। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে, বিশেষ করে অননুমোদিত গাড়ি শহরে প্রবেশ বা চলাচলের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব আরোপ করেন। পণ্য মূল্য সহনীয় রাখা ও অবৈধ মজুদদারি করে কৃত্রিম সংকট না করার জন্য পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি গতকাল নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে পবিত্র মাহে রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত আহ্বান জানান। উক্ত সভায় পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে খাদ্যদ্রব্যসহ ভোজ্য তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার আশু করণীয়, মার্কেটে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, বখাটেপনা রোধ, বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং মলে সিসিটিভির ব্যবস্থা করা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, মার্কেট ও বাণিজ্যিক এলাকায় স্ব স্ব নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন ব্যবস্থা, ক্রেতা সাধারণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যানজট নিরসনে পেপার্কিং ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। মতবিনিময় সভায় সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আশফাকুজ্জামান আকতার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরসহ সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং চট্টগ্রামের চেম্বার নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ীবৃন্দ, আমদানীকারক, পাইকারি ব্যবসায়ীবৃন্দ, দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশনের ৫৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬