নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী রাঙ্গাঝিরি বসত ঘর থেকে অপহৃত শিশু আরাফাত হোসেন বাবু (৭) কে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনা নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ও কাগজীখোলা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় রুহুল আমিন নামে এক অপহরণ কারীকে আটক করা হয়েছে।
উদ্ধার শিশু আরাফাত হোসেন বাবু(৭) নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ড
রাঙ্গাঝিরি সৌদি প্রবাসি সাইফুল ইসলামের ছেলে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি আলিক্ষ্যং দূর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত হলো কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসেমের পুত্র রুহুল আমিন (২০)।
জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী ইউনিয়নস্থ রাঙ্গাঝিরি এলাকায় সৌদি প্রবাসি সাইফুল ইসলামের স্ত্রী শাহেদা বেগম তার এগার বছর বয়সী কন্যা সন্তান এবং সাত বছর বয়সী ছেলে সন্তান আরাফাত হোসেন বাবু সহ বসবাস করছেন।
গত ৩০ জুলাই রাতে অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন অপহরণকারী ঘটনাস্থলে তার বাড়িতে এসে ঢেউটিনের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে শাহেদা বেগমের ছেলে শিশু আরাফাত হোসেন বাবুকে
অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
পরেরদিন অপহরণকারীরা অন্য নম্বর থেকে অপহৃত ভিকটিমের মা শাহেদা বেগমের মোবাইলে ফোন করে ভিকটিমকে প্রাণে হত্যার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে।
উক্ত অপহরণের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই বান্দরবান পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপারের নির্দেশে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা এবং কাগজীখোলা পুলিশ ফাঁড়ির একাধিক আভিযানিক দল অপহরণকারীদের সনাক্ত ও আটকের জন্য
এবং অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করে।
আভিযানিক দল নাইক্ষ্যংছড়ি আলিক্ষ্যং দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী দলের ১ জন সদস্যকে আটক করে এবং অপহৃত ভিকটিম আরাফাতকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পুলিশের অভিযানকালে আটক অপহরণ কারীর অন্যান্য সহযোগিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মাসরুরুল হক বলেন, নাইক্যংছড়ি বাইশারী রাঙ্গাঝিরি থেকে অপহৃত ভিকটিম আরাফাত হোসেন বাবুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িতের মধ্যে রুহুল আমিনকে আটক করা হয়ে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরও ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু হয়। বাকি অপহরণ কারীদের আটকের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।