নবীণ শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিল চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ

| রবিবার , ৬ অক্টোবর, ২০২৪ at ৮:২১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৬ অক্টোবর) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজের সভাপতিত্বে সকাল ১১টায় এটি শুরু হয়।

বিভাগের প্রভাষক তাহমিদা খানমের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক, অতীশ দীপংকর হলের প্রভোস্ট ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ. জি. এম নিয়াজ উদ্দিন। তিনি চবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দসহ নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও স্বাগত জানান।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যাহ পাটোয়ারী বলেন, আজকে তোমরা মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছো। যেখানে এর আগে অনেকেই আসতে পারে নি। অনেক ত্যাগ ও কোরবানীর মাধ্যমে আমরা এই দেশ পেয়েছি। সেজন্য তোমাদের দায়িত্ব অনেক। একজন সুষম ও সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়ার দায়িত্ব তোমাদের। সেই প্রজ্ঞা, যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জনের জন্য তোমরা পরিশ্রম করবে।

অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম বলেন, আমি পলিটিক্যাল সাইন্সের অনেক রথী-মহারথীকে দেখেছি। অনেক জ্ঞানী মানুষ দেখেছি। তবে বিনয়ী মানুষ হওয়া কঠিন, ভালো মানুষ হওয়া কঠিন। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, ভালো মানুষ হও। রেজাল্ট গুরুত্বপূর্ণ তবে বিষয়বস্তু বুঝতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমেই জানার আগ্রহ তৈরী হয়। কারণ, নলেজ নিজেই একটা লক্ষ্য।

বিভাগের বরিষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক ড. ভূঁইয়া মো. মনোয়ার কবীর বলেন, রাজনীতি বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে অবশ্যই আমাদের রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে হবে। কেনো আমরা রাজনীতি করবো না? অবশ্যই শিক্ষার্থীরা রাজনীতি করবে। তবে অবশ্যই আমরা অপরাজনীতিকে পছন্দ করবোনা। এছাড়াও তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন গড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, রাজনীতি বিজ্ঞান একটি ঐতিহ্যবাহী বিভাগ৷ এই বিভাগে অনেক গুণী শিক্ষক দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। সে ঐতিহ্য আমাদের ধরে রাখতে হবে৷ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল নিয়মকানুন আছে তা সবাইকে মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এক্সিলেন্স বৃদ্ধির জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ছাত্রছাত্রী হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণভোমরা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আজ সচল হওয়ায় সে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে একাডেমিক এক্সিলেন্স নিশ্চিত করা৷ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমনভাবে সাজাতে চাই যাতে মানুষ দেখতে আসতে চাইবে। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে হার্ভার্ড এমআইটি করতে পারবো না কিন্তু দেশের মধ্যে অনুসরণীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করবো।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ বলেন, শিক্ষার্থীরা হলেন আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর। সেজন্য তাদেরকে নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পঠন-পাঠনের পাশাপাশি দেশ বিনির্মানের কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, ড. আনোয়ার হোসেন মিঝি, জনাব তাসলিমা আক্তার, মুহাম্মদ ইসহাক এবং উম্মে হাবিবা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল কাইয়ুম, আককাছ আহমদ, ড. হাসিনা আফরোজ শান্তা, মো: সেলিমুল হক, শারমিলা কবির সীমা, ইসমত, মো: এরশাদুল হক, সাফিনাজ মাহমুদ এবং শেখ আমিনুর রহমান।

অনুষ্ঠানে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন মিঝি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাবিব গ্রুপের তিন পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
পরবর্তী নিবন্ধচকরিয়ায় মহাসড়কের পাশে পলিথিন মোড়ানো নবজাতকের লাশ