নবীজির সুন্নত পালনে শারীরিক ও মানসিক শান্তি মিলবে

হালিশহরে মিরাজুন্নবীর মাহফিলে মেয়র । সবাইকে সাথে নিয়ে পরিচ্ছন্ন নগরী তৈরি করব

| বুধবার , ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জীবনাদর্শের মধ্যেই মানবকল্যাণ নিহিত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আল্লাহর প্রিয় হাবীবের উসিলায় আমরা অনেক কিছু পেয়েছি, কিন্তু রসুলের সুন্নত পালন করি না। অথচ তিনি যেসব বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন, সেসবের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে।

গত সোমবার রাতে নগরীর হালিশহর বিব্লকে মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আশরাফীয়া ওসমানীয়া হানাফিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিমখানা মাঠে এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আঞ্জুমান এ আশরাফীয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম জেলা শাখা পবিত্র মিরাজুন্নবী মাহফিল ও ওরসে সরকারে কালা’র আয়োজন করে। আল্লামা কাজী মঈন উদ্দিন আশরাফীর সভাপতিত্বে সভা উদ্বোধন করেন পিএইচপি ফ্যামিলির ফিনান্স ডিরেক্টর ও আন্‌জুমানএ আশরাফীয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আলী হোসেন সোহাগ আশরাফী। পবিত্র মেরাজের রাতে প্রিয় নবী তাঁর উম্মতের জন্য নামাজ ও রোজা নিয়ে এসেছেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রিয় নবী আমাদের প্রতি অনেক দয়া করেছেন, কিন্তু আমরা তার আদর্শ অনুসরণ করতে চাই না। পবিত্র হাসিসে পাকে তিনি মানবজীবনের সকল বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। হাদিসের বাণী অনুসরণ করলে আমাদের শারীরিক ও মানসিক শান্তি মিলবে। সৎ চিন্তা, গ্রিন, ক্লিন ও হেলদি সিটি গড়ার লক্ষ্য নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসেছেন উল্লেখ করে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমার নিয়ত পরিস্কার। সততার সঙ্গে কাজ করতে চাই। সেজন্যই আমি মেয়রের চেয়ারের পাশাপাশি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় পেয়ে গেছি। হয়তো একদিন জলাবদ্ধতা থেকেও মুক্তি পাব। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। নগরীর কয়েকটি এলাকায় গার্ভেজ স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা করেছি। আমাদের সামনে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ, সেগুলো মোকাবেলা করে সবাইকে সাথে নিয়েই পরিচ্ছন্ন নগরী তৈরি করবো। আশরাফীয়া ওসমানীয়া হানাফিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিমখানার সঙ্গে অনেক পুরনো সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মেয়র শিক্ষার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সভায় খোরশেদ উল্লাহ রজায়ী, সাবেক কমিশনার আবুল হাশেম, অধ্যক্ষ মুফতি হারুনুর রশিদ আশরাফী, মাওলানা জামেউল আকতার আশরাফী, মাওলানা শফিউল হক আশরাফী, মোহাম্মদ রফিক আশরাফী, সৈয়দ মনিরুল ইসলাম আশরাফী, মাওলানা হারুনুর রশিদ আশরাফী, মাওলানা আনিসুর রহমান আশরাফী, মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম আশরাফী, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ সেলিম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন মো. মহসিন আলী চৌধুরী, শাহাদাত হোসেন, নুরুল আবছার চৌধুরী, ইসমাইল আশরফী, তাইফুর আশরাফী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশহীদদের পরিবারকে এক কোটি ও আহতদের ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দাবি
পরবর্তী নিবন্ধফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মাস সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা