বাঙালির রূপ সৌন্দর্যের প্রতীক ‘নববর্ষ’ শান্তি বয়ে আনার আভাস। গর্ব ভাষা ও সংস্কৃতি, অহংকার বাঙালিয়ানা। গোড়াপত্তনে ভিন জাতির বৈষম্যে, বাঙালিরা প্রতি পদে বঞ্চিত ও হাসির পাত্র। মাথা নত বিমুখে লাখ লাখ প্রাণ বিনিময়ে বিশ্বে আজ স্বাধীন অভাবনীয় এক জাতি। সংস্কৃতির প্রাণবন্ত– একত্রিত পরিবার ও পোষাকে ভদ্রতা। পুরুষদের ধুতি পাঞ্জাবি নিদারুনে নারীদের শাড়ির বাহারি নকশা। ভিন্ জাতির সভ্যতায়, বাঙালিদের আপ্যায়ন মানবিকতার শীর্ষে। মিষ্ট ভাষার সরল ধ্বনির সুর ও ছন্দে প্রকৃতি আনন্দে সাড়া কিন্তু শত্রুদের অবুঝ মনে কঠিন উচ্চারণ। পাষাণ শাসকের অবহেলায় পিছু না হেটেই বাঙালিরা আজ বিশ্বের শীর্ষ সারিতে, যা রাজা– নবাব– বিপ্লবী হতে জাতির পিতা, বিজ্ঞানী– উপন্যাসিক– প্রকৌশলী– খেলোয়াড় হতে গান রচয়িতা। বাঙালি এক নক্ষত্র।
সোনালী যুগের নববর্ষ রূপ আজ বিলীন। অদূর ভবিষ্যতে বাংলা বর্ষপঞ্জির দেখা ছায়ার মত। অনেকেরই অজানা বাংলা মাসের নাম। আজও গুটিকয়েকের জন্য নবান্ন উৎসব টিকে রয়েছে। উন্নতিতে পাশ্চাত্য ভালো, বাংলা হেয় করে নয়। নববর্ষ জানিয়ে দেয়– আমি বাঙালি, আমি গর্বিত। নববর্ষ আনন্দ উৎসবে বাঙালির সংস্কৃতি সমপ্রদায় যেন হারিয়ে না যায়। এসো হে বৈশাখ, বাংলায় সুখ পাখি এঁকে, মুছে দাও গ্লানি নদীর জলে।