আনোয়ারা উপজেলা হাসপাতালে গত রবিবার রাতে নবজাতককে ফেলে চলে গিয়েছিল মা। ১৩ ঘণ্টা হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সদের কাছে থাকার পর গতকাল সোমবার দুপুর থেকে শিশুটির ঠাঁই হল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদের কাছে। আনোয়ারা উপজেলা হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত রবিবার রাত ১১টায় একটি সিএনজি অটোরিঙা করে একজন গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে দুই নারী আনোয়ারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। কিছুক্ষণ পরেই জরুরি বিভাগের ফ্লোরে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে চিকিৎসা শেষে মা ও নবজাতককে হাসপাতালের বেডে ভর্তি করানো হয়। রাত ১২টার পর হাসপাতালের বেডে কন্যা সন্তানটি ছাড়া আর কাউকে দেখতে না পেয়ে হাসপাতালের নার্সরা খোঁজাখুজি শুরু করেন। এর মধ্যে শিশুটির মা-সহ অন্যরা কৌশলে পালিয়ে যায়। হাসপাতালের তথ্য মতে পালিয়ে যাওয়া মায়ের ঠিকানা বিলকিছ আক্তার (২০)। তার বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর গ্রামের উল্লেখ করা হলেও বাস্তবে এটা ওই মহিলার সঠিক ঠিকানা নয় বলে জানা যায়।
আনোয়ারা হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. রিদোয়ানুল আজাদ জানান, সোমবার দুপুর ১২টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমদ মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি শিশুটির দায়িত্ব নিজে নিয়ে নেন।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, এভাবে সন্তান প্রসব করে হাসপাতালের বেডে রেখে মায়ের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। তাই অসহায় নিষ্পাপ শিশুটির ভবিষ্যৎ জীবনের কথা বিবেচনা করে আমি নিজেই শিশুটির দায়িত্বভার গ্রহণ করলাম। শিশুটির পরিবারের খোঁজ পাওয়া না গেলেও শিশুটির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শিশুটিকে এমন স্থানে (পূর্ণবাসন) লালন পালন করা হবে যাতে শিশুটি আগামীতে একটি সুন্দর জীবন গঠন করতে পারে এবং শিশুটি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।