নগরীর অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ‘ওয়ার্ল্ড প্রিমেচিউরিটি ডে’ উপলক্ষে সেমিনার ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল নয়টায় শুরু হওয়া চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় নগরীর বিভিন্ন স্কুলের শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে বিজয়ী ছয়জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দৈনিক আজাদীর নির্বাহী সম্পাদক পারিহা আকতার। পরবর্তীতে হাসপাতালের মিলনায়তনে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নবজাতক রোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. ওয়াজির আহমেদ, গাইনিকোলজি সোসাইটি চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুন নেসা রুনা, বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ডা. সনাত কুমার বড়ুয়া, অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগের প্রধান ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ফয়সাল আহমেদ, গাইনি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শিরিন ফাতেমা। এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাহমুদ এ চৌধুরী আরজু, চমেক হাসপাতাল শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডা. এএন রাও, চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. প্রকাশ কেএন এবং চিফ মার্কেটিং অফিসার অমিতাভ ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ‘ম্যাটারনেল মেডিকেল প্রবলেমস অ্যান্ড ইন্ডিকেটেড প্রিটার্ম বার্থ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. দিল আনজিজ বেগম। এছাড়া ‘কনজেনিটাল ইনফেকশন অ্যান্ড প্রিমেচিউরিটি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. আরমান জায়েদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সারা বিশ্বে প্রতি বছর এক কোটি ৫০ লাখ নবজাতক ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্মগ্রহণ করে। অর্থাৎ প্রতি ১০টি শিশুর মধ্যে একটি প্রিমেচিউর শিশু জন্মায়। তাদের মধ্যে অনেকেই থাকে স্বল্প ওজনের বা ২ হাজার ৫০০ গ্রামের কম। এসব শিশুর বেঁচে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। নিউমোনিয়ার পর বিশ্বে নবজাতক–মৃত্যুর বড় একটি কারণ এই প্রিমেচিউর বার্থ অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শিশুর জন্ম। প্রায় ৪৫ শতাংশ নবজাতকের মৃত্যু ঘটে সময়ের আগে জন্ম নেওয়ার কারণে।












