কত আর জমবে দুঃখ, পোষার মেঘ।
যে মেঘে আকাশ ভারী হয়ে বৃষ্টি নামে।
আকাশ ভাঙা শব্দে শান্ত বিলের গায়ে,
পেঁজা তুলার মতো পাখিদের নীড় উড়ে যায় থৈ থৈ জলে।
কত আর শুনবে গান হৃদ পাথরের নদী,
যেখানে অভিমানের বাদক,
অসম্মানের অন্ধকারে বেজন্মা বলাৎকার।
বিস্তীর্ণ বালু চরে অসভ্য নেড়ীদের আবাস।
বর্গা দেয়া নয়, বেহাত হবার,
দুঃশাসনের নিচক অহংকার।
আর কত কুড়াবে ভুল, জেলের গারদে।
যন্ত্রণার জীবাশ্ময় নিথর দেহ ঠুকরে খায় বিবেক বন্ধ রেখে।
কাটে দিন, সুর হীন, লয় হীন—-ঘন হয় আত্মগ্লানি,
অবসাদ ফেরী করে মুখোশ পরা অমেরুদন্ডী প্রাণি।
কয়েদীর মতো মিইয়ে গেছে ক্লান্তি,
অসুখের বারান্দায় খোলে বসে শব্দের পান্ডুলিপি।
কেউ আর পড়বে না, ধূলোয় জমবে অব্যক্ত খেদ,
সন্তাপ ঘুমায়, পৌঢ় নিশিন্দা গাছের নিচে,
বুকে তার জমাট কালো মেঘ।