মানবপাচার চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কর্ণফুলী থানা পুলিশ। এসময় নদীপথে পাচারকালে উদ্ধার করা হয় ১৭ রোহিঙ্গাকে। জব্দ করা হয় ইঞ্জিনচালিত দুটি কাঠের বোট। পুলিশ জানায়, গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কর্ণফুলী নদীর শিকলবাহা শাহ আমানত সেতুর নিচ থেকে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা হয়।
আটক তিনজন হচ্ছেন– মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়ার ধলা মিয়ার ছেলে ফজল করিম প্রকাশ ফুতু মাঝি (৪৭), উখিয়া জালিয়াপালংয়ের মাহবুবুল আলমের ছেলে এনামুল করিম রাজিব (৩৭) এবং কক্সবাজার সদরের মৃত উলা মিয়ার ছেলে গোলাম হোসেন (৪০)।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন–নূর মোস্তফা (২৬), আছহাবুল হক (২২), মোঃ রিদুয়ান (২০), মো. নাইম (২৭), মো. বেলাল (৪৬), রৌশন আলী (১৯), আব্দুল আলিম (২০), মোঃ হাশেম (৩০), আবুল হোসেন (৩৫), আব্দুল হামিদ (৩৫), সাব্বির আহমদ (২৯), হামিদ হোসেন (২৫), মো. জোবায়ের (২৩), আব্দুল মজিদ (৩৩), আব্দুর শুকুর (৪২), সৈয়দ হোসেন (৫৫) এবং মো. করিম (৩০)। সবাই টেকনাফ মৌছনী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা।
কর্ণফুলী থানার ওসি তদন্ত মেহেদী হাসান বলেন, রোহিঙ্গাদের পাচার করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে রাতে কোস্টগার্ডের বিশেষ দল কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর নিচে অভিযান চালিয়ে ইঞ্জিনচালিত দুটি কাঠের বোট থেকে ১৭ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে। এ সময় মানবপাচার চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের পরে কর্ণফুলী থানায় পাঠালে মামলার প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।