নদী সমীক্ষায় কোনো তথ্য মুছে ফেলা হয়নি : চেয়ারম্যান

| বৃহস্পতিবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:৩২ পূর্বাহ্ণ

পাঁচ বছর ধরে দেশের ৪৮ নদীর দখল, দূষণ ও নাব্যতা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, সেখানে কোনো তথ্য মুছে ফেলা হয়নি বলে দাবি করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। গতকাল বুধবার ঢাকায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে– ‘৩৭ হাজার দখলদারের তথ্য মুছে দিয়েছে নদী রক্ষা কমিশন’। খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এখনো তো ওই প্রকল্প সমীক্ষার যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, তা চূড়ান্ত হয়নি। তাহলে মুছে দেওয়ার কথা আসছে কেন? খবর বিডিনিউজের।

মনজুর আহমেদ বলেন, ৪৮ নদীর সমীক্ষা তিন বছরের প্রজেক্ট ছিল। তবে সময় বাড়িয়ে পাঁচ বছর সময় নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে সমীক্ষার প্রতিবেদন চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে ৫৭ হাজার নদী দখলদারের তালিকা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চিত থাকুন। ৪৮ নদীর সমীক্ষার যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, জেলা প্রশাসক যাচাই বাছাই করার পর চূড়ান্ত ও সঠিক প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

সমীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য মুছে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করলেও দীর্ঘদিন ধরে চলা সমীক্ষায় ত্রুটি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে, সমীক্ষা সঠিক হয়নি এবং কিছু কিছু ত্রুটি ধরা পড়ছে। তাই যাচাইবাছাই করার জন্য তালিকাগুলো জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক পরীক্ষানিরীক্ষা করার পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে আমাদের নিজস্ব সার্ভারে দেবেন।

কী ধরনের ত্রুটি ধরা পড়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদীর তিন ভাগের এক ভাগ সমীক্ষা না করে প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দেওয়া হয়েছে। এরকম আরো নদীর ক্ষেত্রেও হয়েছে। আবার দেখা গেলদখলদার হলো সাইফুল ইসলাম, কিন্তু নাম দেওয়া হলো গোলাপ নামের একজনের। এখানে অন্য উদ্দেশ্য আছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মনজুর আহমেদ বলেন, ৩৯টি বড় ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেছে। আর সমীক্ষা পানি আইনের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে, তা ঠিক হয়নি। এই সমীক্ষাকে অনেক কিছুর (অন্য আইন) উপর নির্ভর করতে হয়। কিছু দখলদার ক্ষমতা দেখিয়ে সমীক্ষা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাচ্ছে মন্তব্য করে চেয়ারম্যান বলেন, সেসব দখলদারকে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করার কথা জানালেও সেসব প্রভাবশালীর নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদাবি না মানলে দুদিনের কর্মবিরতি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের
পরবর্তী নিবন্ধবিভিন্ন থানার সমন্বিত অভিযান, একদিনেই গ্রেপ্তার ৫২ আসামি