আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রাম–১৫ (লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাার্থী সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। গত ১ ডিসেম্বর শুক্রবার চট্টগ্রাম–১৫ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান সিনিয়র সহকারী জজ (চট্টগ্রাম সদর) শাহনেওয়াজ মনির এই নোটিশ দেন। তলবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী জজ (সদর) আদালতের বেঞ্চ সহকারী নূর আলম।
নোটিশে বলা হয়, আপনি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংসদীয় আসন–২৯২, চট্টগ্রাম– ১৫ এ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। আপনার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব এ মর্মে অভিযোগ করেছেন যে, গত ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে দেওদিঘী বাজার নামক স্থানে আপনার কর্মী আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন তার সমর্থকদের গাড়িসহ দীর্ঘসময় আটকে রাখে এবং কয়েকজনকে মারধর করে। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাওয়ার সময় সাতকানিয়া কেরাণীহাটে আপনার লোকজন নানা অশালীন অঙ্গভঙ্গি ও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে শাসাতে থাকে। তারা স্বতন্ত্র আব্দুল মোতালেবের ছবিতে আগুন লাগিয়ে দৃষ্টিকটু ও আক্রমণাত্মক আচরণ করেছে। তদুপরী, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আপনি সাতকানিয়ায় একটি সমাবেশে নানা প্রতিশ্রুতি ও অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন। আপনার বিরুদ্ধে উপরোক্ত অভিযোগ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৩, ৬ (ক), ৭ (২) (৪), ১৭ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
আমাদের সাতকানিয়া প্রতিনিধি জানান, চিঠি পেয়ে প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী গতকাল নির্ধারিত সময়ে প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী জজ শাহনেওয়াজ মনিরের নিকট লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম–১৫ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সহকারী জজ শাহনেওয়াজ মনির স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের অভিযোগে উল্লেখিত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেন।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনজনিত বিষয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা চাওয়া প্রসঙ্গে ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী জানান, আমি প্রতিনিধির মাধ্যমে যথা সময়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির নিকট লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি গত ২৯ নভেম্বর সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাসের নিকট মনোনয়নপত্র জমা, চুনতি শাহ সাহেব (রহ.) এবং আমার বাবাসহ মুরব্বিদের কবর জিয়ারত শেষে শহরে চলে এসেছি। গতকাল গিয়ে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান শেষে আবার শহরে চলে এসেছি। আমি কোথাও যাইনি। এলাকায় না গিয়ে কোনো ধরনের সভা সমাবেশ না করে কিভাবে আচরণবিধি ভঙ্গ করব ? মনোনয়ন জমাদানের পর কোথাও কোনো ধরনের প্রতিশ্রুতি দিই নাই। আবু রেজা নদভী উল্টো অভিযোগ করে বলেন, মোতালেব মিছিল সহকারে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে এবং লোহাগাড়ায় সভা করেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজে আচরণবিধি ভঙ্গ করে আমার উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। এটাতো ঠিক না।












