বিশ্ব অর্থনীতির এক–চতুর্থাংশের নিয়ন্ত্রণকারী পাঁচ দেশের জোট ব্রিকসে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে আরও ছয় দেশ। সৌদি আরব, ইরান, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া ও আর্জেন্টিনা এই আমন্ত্রণ পেয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে তিন দিনের সম্মেলনে ব্রিকস নেতারা জোট সমপ্রসারণের বিষয়ে একমত হওয়ার পর এই ঘোষণা এল। খবর বিডিনিউজের।
ব্রিকসের বর্তমান চেয়ার এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, নতুন যে দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই তারা ব্রিকসের সদস্য হতে পারবে। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের অর্থনৈতিক জোট ব্রিক এর প্রথম আনুষ্ঠানিক সম্মেলন হয় ২০০৯ সালে। পরের বছর দক্ষিণ আফ্রিকার অন্তর্ভুক্তিতে জোটের নাম হয় ব্রিকস। এই জোটের উদ্যোগে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই যাত্রা করে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক–এনডিবি।
রয়টার্স লিখেছে, পশ্চিমা আধিপত্য খর্ব করতে চীন ও রশিয়ার নেতৃত্বে ভূরাজনৈতিক মেরুকরণ যখন ক্রমশ বাড়ছে, তখন ব্রিকস সমপ্রসারণের এই উদ্যোগে আরও ডজনখানেক দেশের জন্য এ জোটের দরজা খুলতে পারে। জোহানেসবার্গে তিন দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে জোটের সমপ্রসারণ নিয়ে আলোচনাই এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। জোটের নেতাদের অনেকে প্রকাশ্যেই ব্রিকস সমপ্রসারণের পক্ষে নিজেদের সমর্থনের কথা বলেছেন। তবে নতুন কতগুলো দেশকে সদস্য করা হবে এবং সেটা কতটা তাড়াতাড়ি, তা নিয়ে নেতাদের মধ্যে বিভক্তি ছিল। ৪০টিরও বেশি দেশ এবার ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এর মধ্যে ২২টি দেশ এই জোটে যোগ দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন করে, যার মধ্যে বাংলাদেশও ছিল। বাংলাদেশ ব্রিকসের নিউ ডেভলেপমেন্ট ব্যাংকে যোগ দিয়েছিল ২০২১ সালেই। মূল জোটেও যে বাংলাদেশ যোগ দিতে চায়, সে কথা গত জুনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।