নতুন বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে আরেকটু সময় চাইলেন কোচ সিমন্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক  | মঙ্গলবার , ২২ এপ্রিল, ২০২৫ at ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

টেস্ট ক্রিকেট এখন আগের মত ঘুম পাড়ানি মাসি পিসির গানের মত নাই। এখন টেস্টেও চার আর ছক্কার ঝড় উঠে। যা দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান দলটিতে। এই যেমন সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে হাত খোলার জায়গা না থাকলেও অনেকটা জোর করে শট খেলার চেষ্টায় আউট নাজমুল হোসেন শান্ত। কয়েক ওভার পর বড় শটের খোঁজে একই পথের পথিক মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক। পরিস্থিতি বিবেচনায় তখন দ্রুত রান তোলার তাড়া ছিল না কারও। তবে টেস্ট ক্রিকেটে এখন এটিই হতে পারে বাংলাদেশের নতুন মন্ত্র। আগ্রাসনের এই পথ আত্মস্থ করে সাফল্য পেতে সময় চেয়ে রাখলেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। সিরিজ শুরুর আগের দিন অধিনায়ক শান্ত বলেছিলেন, নতুন কিছু দেখতে পাবেন এই সিরিজে। তবে খোলাসা করেননি তিনি তা। নতুনের পথে কি কি পরিবর্তন আসতে পারে তাদের খেলায়। ২২ গজে নামার পর অবশ্য পুরোনো বাংলাদেশের দেখাই মিলেছে। হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর প্রথম দিনের বোলিংয়েও ভালো কিছু করতে পারেনি তারা। প্রথম দিন শেষে নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নেন সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। পাশাপাশি তিনি বলেন, ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে সিমন্সের কণ্ঠেও ছিল একই সুর। ব্রডকাস্টারে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি পরিষ্কার একটি বার্তা দিয়ে রাখলেন। তা হচ্ছে নতুনের খোঁজে টেস্ট ক্রিকেটে সামনের দিনগুলোতে আর জবুথবু হয়ে থাকবে না বাংলাদেশ। তিনি বলেন আমরা এখন আগের চেয়ে ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করছি। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা সাধারণত পিছিয়ে থাকি। প্রতিপক্ষ দলগুলোকে চড়াও হতে দেই। এখন আমাদের অগ্রসর হতে হবে। প্রথম দিনটা ব্যাটসম্যানদের জন্য ভালো যায়নি। তবে তারা কি করতে চেয়েছে, সেটি দৃশ্যমান ছিল। কখনও কখনও এসব বিষয়ে সময় লাগে। আমরা এখন এভাবেই খেলতে চাই। যে কোনো দলের বিপক্ষে সবসময় এগিয়ে থাকতে চাই। নতুন কিছু করার অভিযানে প্রথম দিন মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। দিনের শেষ দিকে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান করে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে প্রথম দিনেই যে লড়াইয়ের শেষ নয় তা মনে করিয়ে দিলেন কোচ। তিনি বলেন প্রথম দিন নিজেদের কাজগুলো ঠিকঠাক করতে পারিনি। টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিন ছিল। তাই ঘুরে দাঁড়ানোর অনেক সুযোগ আছে। আমরা শেষ দিকে বোলিংও ভালো করতে পারিনি। আশা করি সকালে ভালোভাবে শুরু করতে পারব। এবং সেটা বাংলাদেশ দলের বোলাররা করতে পেরেছে দ্বিতীয় দিনে। তিনি বলেন এখানে বিষয়টা মূলত ধারাবাহিকতা ও পেশাদারিত্বের। সকালে আমরা কিভাবে শুরু করি সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি আগের দিনের চাইতে ভালো লাইনলেংথে বোলিং করতে পারি, ফিল্ড সাজানোও ভালো হয়, তাহলে কয়েকটি উইকেট পেতে পারি। তবে দিন শেষে বাংলাদেশের বোলাররা তাদের কোচের কথাকে সত্যি প্রমাণ করেছে। দ্বিতীয় দিনে ঠিকই ম্যাচে ফিরেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোহলি-রোহিত-জাদেজার বাৎসরিক বেতন ৭ কোটি রুপি
পরবর্তী নিবন্ধপ্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে চিটাগাং ক্লাবের জয়