নতুন নির্বাচন কমিশনকে প্রত্যাখ্যান জাতীয় নাগরিক কমিটির

| সোমবার , ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তার নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। গতকাল রোববার বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে প্রণীত বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন২০২২ এর অধীনে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের আগেই নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদ জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই আইন বাতিল করাটাই যুক্তিযুক্ত হতো।’ খবর বিডিনিউজের।

তিনি বলেন, নতুন সার্চ কমিটি গঠিত হয়ে যাওয়ায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের আইনটি বদলের পক্ষের যে ইচ্ছা সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছি এবং তাদের এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এই সরকার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জনগণের অভিপ্রায়কে পুরোপুরি ধারণ করতে পারছে না। ‘অবিতর্কিত’ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে সামান্তা শারমিন বলেন, আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে অবৈধ রাষ্ট্রপতির অধীনে ফ্যাসিস্ট আইনি কাঠামোয় গঠিত নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান করছি এবং অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনসহ আইনটি বাতিল করে নতুন আইনের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ ও অবিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি। রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের কাছে নতি স্বীকার করে সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করতে বাধ্য হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ কাজ গণঅভ্যুত্থানের কমিটমেন্টের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল! আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র ও জনগণ গণঅভ্যুত্থানের শরীক। কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

সংগঠনটির মুখপাত্র বলেন, . ইউনূসকে মনে রাখতে হবে, তিনি ছাত্রজনতার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত। তরুণ শিক্ষার্থী সমাজসহ আপামর জনগণের কাছেই তিনি দায়বদ্ধ। রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে সংস্কার হবে না, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য আমরা তার কাছ থেকে শুনতে চাই না। এ সময় তিনি রাষ্ট্রপতির অপসারণও দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালী-সাতকানিয়া সীমান্তে পাহাড়ের ঢালুতে অসংখ্য ইটভাটা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আরও ৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত