বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ওরা পেয়েছেন নতুন ঘর। ঘর পেয়ে খুশি। বুনছেন নতুন স্বপ্ন। বাঁশখালী প্রতিনিধি জানান, বাঁশখালীর ২৫ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গতকাল নতুন ঘর প্রদান করা হয়েছে। আর খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, ওখানে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩০ পরিবারের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।
রায়হানার চোখে নতুন স্বপ্ন : রায়হানা বেগম স্বামীহারা। বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদীতে বাপের বাড়িতে কোনো রকমে জীবন কাটাতেন। জাতির জনকের কন্যা তাকে নতুন করে স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। প্রায় ১৫ বছর আগে স্বামী আবদুল আজিজ মারা যাওয়ার পর একমাত্র মেয়ে শামীমা ইয়াসমিনকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতেন। মেয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। আর্থিক সমস্যায় আর পড়া হয়নি। অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবন নির্বাহ করত। বাড়ি পেয়ে রায়হানা বললেন, মাথার উপর এখন নতুন করে ছাতা পেলাম।
ঘর পেয়ে কাঁদলেন নিলু নাথ : কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরী নাথ পাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন নিলু নাথ। স্বামী শুধাংশু নাথ দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিস হয়ে ঘরবন্দী। ২ মেয়ে ১ ছেলের সংসার বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলে জনি টিভি ফ্রিজের দোকানে মেকানিক। তাদের নেই থাকার ঘর। নিজের বলতে তাদের কিছুই ছিল না। এই দুঃসময়ে ঘর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তিনি বলেন, থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। যদি কর্মসংস্থান হয় সরকারের কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকব।
খুশিতে আপ্লুত জসিম : খাগড়াছড়ির দীঘিনালার উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের সোবাহানপুর গ্রামের বরকত আলীর পুত্র মো. জসিম। তার ঘর ছিল না। মুজিববর্ষে তিনি এবার ঘর পেয়েছেন। ঘর পেয়ে খুশিতে আপ্লুত। তিনি বলেন, জীবনে কখনো ভাবিনি সরকার আমাদের ঘর দেবে। নতুন ঘর পেয়েছি। নতুন চাবি ও দলিল দিয়েছে। এখন আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে।