বরাদ্দ পাওয়া টিকার ডোজের তুলনায় নিবন্ধনকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরের কেন্দ্রগুলোর বিপরীতে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফের বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল থেকে মহানগরের কেন্দ্রগুলোতে টিকা গ্রহণের জন্য কেউ নিবন্ধন করতে পারছেন না। এ তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজাদীকে বলেন, বরাদ্দকৃত টিকার তুলনায় নিবন্ধনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় সিটি কর্পোরেশন এলাকার কেন্দ্রগুলোর নিবন্ধন সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে এই নিবন্ধন আবারো চালু হবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী- প্রথম দফায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এলাকায় দেড় লাখ (১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৫) ডোজ টিকা বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরমধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ২৭৯ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। হিসেবে অবশিষ্ট ৩৫ হাজার ৬২৬ ডোজ টিকা বর্তমানে অব্যবহৃত রয়েছে। করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দৈনিক ১০ হাজারের কিছু কম-বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হচ্ছে। সে হিসেবে অবশিষ্ট ৩৫ হাজার ৬২৬ ডোজ নিয়ে সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ দিন এ টিকাদান কার্যক্রম চালানো সম্ভব। আর বরাদ্দ পাওয়া টিকা শেষ হলে নতুন বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হতে পারে।
এদিকে বরাদ্দ পাওয়া দেড় লাখ ডোজ টিকার বিপরীতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত মহানগরের ২ লাখ ১ হাজার ৭০২ জন টিকা নিতে অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। অর্থাৎ মহানগরে প্রাপ্ত বরাদ্দের চেয়ে এরইমধ্যে প্রায় অর্ধ লাখ বেশি মানুষ টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন। বরাদ্দ পাওয়া টিকার তুলনায় নিবন্ধনকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় মহানগরের কেন্দ্রগুলোতে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে উপজেলা পর্যায়ের কেন্দ্রগুলোর বিপরীতে রেজিস্ট্রেশন চালু রয়েছে বলেও জানান তারা।
এসএমএস ছাড়া টিকা নয় : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে এখন কেবল অনলাইনে নিবন্ধিত কেন্দ্রেই টিকা নিতে হবে নিবন্ধনধারীকে। এ বিষয়ে চসিক করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী ও চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন- যিনি যে কেন্দ্রের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন, এখন থেকে তিনি সে কেন্দ্রেই টিকা নেবেন। ভিন্ন কোনো কেন্দ্রে টিকা নেয়া যাবে না। আর নিবন্ধনের পর টিকাগ্রহনের তারিখ ও সময়সহ সংশ্লিষ্ট নিবন্ধনকারী তার মোবাইলে একটি এসএমএস পাবেন। ওই এসএমএস-এ উল্ল্লিখিত তারিখে নিবন্ধনকারী টিকা নিতে কেন্দ্রে যাবেন। কেন্দ্রে গিয়ে মোবাইলে আসা এসএমএস দেখিয়ে তিনি টিকা নিতে পারবেন। এসএমএস না আসা পর্যন্ত টিকা নিতে পারবেন না। এসএমএস পাওয়া সাপেক্ষে সকলকে নিবন্ধিত স্ব-স্ব কেন্দ্রে গিয়ে টিকা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন এ দুই কর্মকর্তা।