নগরে স্মার্ট লাইটিংয়ে চসিকের ২৬১ কোটি টাকার প্রকল্প

ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি অনিয়ম হলে কাউকে ছাড় নয় : মন্ত্রী তাজুল

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৭ জুলাই, ২০২৪ at ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ

নগরের সড়ক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) চলমান আড়াই হাজার কোটির প্রকল্পের কাজের গুণগত মান বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এ সময় কাজে কোনো অনিয়ম হলে এর সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি। নগরে সড়কবাতির উন্নয়নে ভারতীয় নমনীয় ঋণ চুক্তির আওতায় ২৬০ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকার একটি প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চসিকের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত নগরের রেডিসন ব্লু বে ভিউয়ের মেজবান হলে ‘স্মার্ট লাইটিংদ্যা ফাউন্ডেশন অব ফিউচার স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক’ এ চুক্তি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। চসিকের পক্ষে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং ঠিকদারি প্রতিষ্ঠান শাপার্জি পালনজি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার (স্মার্ট সিটিজ) নিরাজ কুমার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম শহরকে আলোকিত করতে স্থাপন হতে যাওয়া স্মার্ট এলইডি বৈদ্যুতিক বাতি হবে ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। একইসঙ্গে এই বাতি স্থাপনার মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা খরচও ১৫ শতাংশ হ্রাস পাবে।

মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিক এবং পথচারীদের জন্য কার্যকর ও টেকসই সড়ক বাতির আলোক সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে। পাশাপাশি স্মার্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সড়ক বাতির আলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

এ সময় প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে করার তাগাদা দিয়ে নয়ছয় হলে ছাড় দেওয়া হবে না ঘোষণা দেন তাজুল ইসলাম। এ সময় আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই প্রকল্পের কাজ যাতে ঠিকভাবে হয়, গুণগত মান বজায় থাকে এবং মানুষ যাতে সুফল পান, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু প্রকল্পের কাজ নিয়ে কোনো অনিয়ম হলে অর্থাৎ সীমা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে যতটুকু করা দরকার তা করা হবে। আমি দায়িত্বে থাকাকালীন কোনো ছাড় দেইনি, ভবিষ্যতেও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এ সময় জনপ্রতিনিধি ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা অন্যায়কে অন্যায় বলেন, ন্যায়কে ন্যায় বলেন, এ শহর আপনাদের। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন। আইন সংশোধনের প্রয়োজন হলে তা বলবেন। পাহাড় কেটে ফেলছে আপনারা কী করছেন? ঢাকায় খালের ওপর মার্কেট আমরা ভেঙে দিছি। খারাপকে খারাপ বলেন, ভালোকে ভালো বলেন। জনগণের ভোট নিয়ে প্রতারণা করা যাবে না। আমি মানুষ খারাপ হতে পারি, কিন্তু দায়িত্ব পালনে পিছপা হই না।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে ভারত। ভারতের সহায়তায় এ প্রকল্প (আলোকায়ন প্রকল্পটি) বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসী আলোকিত চট্টগ্রাম পাবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে এ প্রকল্প।

তিনি বলেন, বাংলাদেশভারত সম্পর্ক নিয়ে অপপ্রচার রয়েছে। বাজারে এই ধরনের কথা ভালো চলে, তাই এই অপপ্রচার হয়ে থাকে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমল থেকে এই অপপ্রচার চলে আসছে। কিন্তু বাস্তবে দ্বিপাক্ষিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি হয়ে থাকে। এতে দুই দেশের মানুষ উপকৃত হয়।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে। সড়ক বাতির এই প্রকল্প ভারতবাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের স্মারক। সড়ক বাতির এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্মার্ট চট্টগ্রামের যাত্রা শুরু করল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

এ সময় ইউরোপে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে বাধা নেই উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপালের মধ্যে এই ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা হলে এই অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আজকে চুক্তি স্বাক্ষর হওয়া প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৬০ কিলোমিটার সড়কের আলোকায়ন হতে যাচ্ছে, যা পরিবেশ বান্ধব, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, টেকসই ও কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। এটি বাস্তবায়নের পর চট্টগ্রামের কোনো অলিগলি আলোকায়নের বাইরে থাকবে না। কারণ আমরা বড় রাস্তায় বর্তমানে বিদ্যমান বাতিগুলো দিয়ে নগরের অলিগলির আলোকায়ন সহজে করে ফেলতে পারব। ফলে নগরবাসীর নিরাপত্তা ও স্বপ্তি বাড়বে এবং নগরের ল্যান্ডস্কেপে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। আমি মেয়র হিসেবে কথা দিচ্ছি, এ প্রকল্প যাতে সঠিকভাবে ও যথাযথ গুণগত মান রক্ষা করে বাস্তবায়িত হয় সে বিষয়ে আমার কঠোর তদারকি নিশ্চিত করব।

মেয়র বলেন, আপনারা জানেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের ১ নম্বর সমস্যা। প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় ১৪ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকার ৪টি প্রকল্প চলমান রয়েছে এ সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে। আপনারা নিশ্চয়ই উপলব্দি করতে শুরু করেছেন এ বছর বেশ কয়েকবার অতিবৃষ্টি হলেও চট্টগ্রাম শহরে আগের মতো জলমগ্নতা সৃষ্টি হয়নি। চট্টগ্রামবাসী সুফল পেতে শুরু করেছে। সিডিএ’র চলমান প্রকল্প শেষ হলে আমরা আরো বেশি সুফল ভোগ করতে পারব ইনশাআল্লাহ। সিডিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় আমরা সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছি নগরবাসীকে স্বস্তি দেয়ার জন্য। পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনসহ সকলে আরো আন্তরিক হলে আমরা যদি পাহাড় কাটা বন্ধ করতে পারি তাহলে আগামী ৫১০ বছর পর জলাবদ্ধতা হয়ত অতীত ইতিহাস হয়ে যাবে। আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম একটি সবুজ নগরী। এ নগরীর সবুজ বেষ্টনী রক্ষা করেই আমাদের নগরোন্নয়নের কথা চিন্তা করতে হবে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে পরিবেশ বান্ধব ও ক্রীড়া বান্ধব আবহে বড় হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেই মনোযোগ দিয়েছি শিশুকিশোরদের খেলাধুলার মাঠসহ নাগরিক স্বাস্থ্য ও বিনোদনের পরিসর সৃষ্টি করার উপর।

তিনি বলেন, এ বছর আমরা রাজস্ব আদায় ও বাজেট বাস্তবায়নে রেকর্ড করেছি। অনলাইনে কর আদায় ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুর পরিমাণ বাড়াতে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছি। স্মার্ট সিটি বাস্তবায়নে সেটি নিশ্চয়ই বড় ভূমিকা পালন করবে। আমরা ১৪, ১৫ ও ২১ নং ওয়ার্ডকে স্মার্ট ওয়ার্ড হিসেবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এ ৩টি ওয়ার্ডে সামিট কমিউনিকেশন্স এর সহযোগিতায় সকল ইন্টারনেট, ক্যাবল ও টেলিকম সেবায় ব্যবহৃত ওভারহেড ক্যাবল আন্ডারগ্রাউন্ড চ্যানেলে চলে যাবে। ইতোমধ্যে ১৪ নং ওয়ার্ডে প্রায় শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন দিয়েছেন তারই অনুষঙ্গ হিসেবে স্মার্ট সিটি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণব ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। মাত্র কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় গ্রিন পার্টনারশিপ বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের জন্য পরিবেশ বান্ধব, স্থায়ী, সমন্বিত ও সুন্দর ভবিষ্যত তৈরিতে আমরা একযোগে কাজ করব। আমাদের লক্ষ্য কার্বন নিঃসরণ কমানো, জ্বালানী ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি ও পরিবেশ সুরক্ষা।

আলোকায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রামে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সিটি স্ট্রিট লাইট ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে মন্তব্য করে প্রণয় ভার্মা বলেন, চট্টগ্রাম স্মার্ট সিটি হবার জন্য একটি পদক্ষেপ হবে এটি। নগরীর ৪৬০ কিলোমিটার সড়ক আলোকায়ন হবে। এতে পরিবেশ বান্ধব, কম জ্বালানী ব্যবহারকারী এলইডি লাইট ব্যবহার হবে। আশাকরি প্রকল্পটি সর্বোচ্চ দক্ষতার সাথে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে ছিল ভারত। বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারতের ভূমিকার টোকেন অফ ফ্রেন্ডশীপ হিসেবে কাজ করবে এ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধবভাবে চট্টগ্রামকে আলোাকিত করা সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

জানা গেছে, প্রকল্পটির আওতায় নগরের ৪১ ওয়ার্ডে ৪৬৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার সড়কে ২০ হাজার ৬০০টি এলইডি বাতি স্থাপন করা হবে। ২০১৯ সালের ৯ জুলাই একনেকে অনুমোদন হয় ‘মর্ডানাইজেশন অব সিটি স্ট্রিট লাইট সিস্টেম অ্যাট ডিফারেন্স এরিয়া আন্ডার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন’ শীর্ষক প্রকল্পটি। প্রকল্পে ঋণ হিসেবে ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ অর্থের যোগান দিবে ভারত। তাই ঠিকাদার নিয়োগসহ বিভিন্ন ধাপে দেশটির চূড়ান্ত অনুমোদন না পাওয়ায় এতদিন আটকে ছিল প্রকল্পটি।

প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে এলওসি(লাইন অব ক্রেডিট) এর আওতায় এ প্রকল্পে ঋণ হিসেবে ভারতের দেয়া অর্থের পরিমাণ ২১৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা। অবশিষ্ট ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ বা ৪৬ কোটি ৪৩ লাখ ৫ হাজার টাকা দিবে বাংলাদেশ সরকার।

প্রকল্পের আওতায় শহরের ৪১ ওয়ার্ডে ৪০, ৬০, ১০০ ও ২৫০ ওয়াটের ২০ হাজার ৬০০টি এলইডি বাতি, ২০ হাজার ২৬৭টি জিআই পোল এবং ৫০৭টি কন্ট্রোল সুইচ বঙ বসানো হবে। পাঁচ মিটারের বেশি প্রশস্ত সড়কগুলোতে এসব বাতি লাগানো হবে। এছাড়া হাইড্রোলিক বীম লিফটার ও ইলেকট্রিক্যাল ইক্যুপমেন্ট সংগ্রহ করা হবে। এটি চসিকের ইতিহাসে আলোকায়নের জন্য গৃহীত সর্ববৃহৎ প্রকল্প।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম, সিডিএর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, ডিআইজি নূরে আলম মিনা, পুলিশ কমিশনার উপপুলিশ মহাপরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম, সিডিএর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার রাজীব রঞ্জন, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন ও প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৈঠক হলেও হয়নি সমঝোতা
পরবর্তী নিবন্ধচীনের সঙ্গে উন্নয়নের সম্পর্ক, ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক : কাদের