‘একসাথে মাসিক বান্ধব পৃথিবী গড়ি’ এ প্রতিপাদ্যে এ বছর বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব মাসিক দিবস। গতকাল বৃহস্পতিবার এ দিবসটি উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদস্থ হোটেল আগ্রাবাদে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওসাপ বাংলাদেশ অর্ধদিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
ওসাপ কান্ট্রি ম্যানেজার উত্তম কুমার সাহার সভাপতিত্ব এবং ওসাপ প্রজেক্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ খোরশেদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ইঞ্জিনিয়ার বিষ্ণু কুমার সরকার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ–পরিচালক মোহাম্মদ নোমান হোসেন ও চট্টগ্রাম ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক কাজী শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এ সভায় জানানো হয়, এসডিজির ১৭টি লক্ষমাত্রার ৬টি ধারা সরাসরি নারী স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট। ৮২ শতাংশ স্কুলে মাসিক ব্যবস্থাপনার কোন সুযোগ নাই। ফলে প্রায় ৪০ শতাংশ ছাত্রী মাসিককালে স্কুলে অনুপস্থিত থাকে। মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার চিহ্নিত সমস্যাগুলো দূর করতে না পারলে এসডিজির বেশ কয়েকটি ধারা অর্জনে বাধা হতে পারে।
ওসাপ ট্রেনিং স্পেশালিষ্ট আকলিমা খাতুন বলেন, ওসাপ বাংলাদেশ চট্টগ্রাম শহরে ২০০৭ সাল থেকে নিরাপদ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, হাইজিনসহ ওয়াসা বিষয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। বিশেষত চট্টগ্রামের প্রতিটি ওয়ার্ডে ২ থেকে ৩টি করে কিশোরীদের টিম রয়েছে যেখানে প্রায় এক হাজারের বেশী কিশোরী নিবিড়ভাবে মাসিক বিষয়ে ধারণা পেয়েছে এবং তাদের মাধ্যমে অন্যান্য কিশোরীদেরও ধারণা দিচ্ছে। এছাড়া ৬২টি বিদ্যালয়ে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক ওয়াসরুম স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাসিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ধারণা প্রদান করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশেনের নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা চট্টগ্রাম নগরীকে একটি জনবান্ধব নগরীতে পরিণত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। যেহেতু শিশুদের বয়ঃসন্ধিকাল মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সে দিক বিবেচনায় শিশুদের প্রজনন স্বাস্থ্য নিশ্চিতে সরকার বদ্ধপরিকর। নারীদের নিরাপদ মাসিক উপকরণ নিশ্চিতে আমরা আগামীতে পদক্ষেপ নেব।
সভাপতির বক্তব্যে ওসাপ কান্ট্রি ম্যানেজার বলেন, আমরা মাসিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কমিউনিটি এবং স্কুল পর্যায়ে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। চট্টগ্রামে প্রায় শতাধিক কিশোরী দল রয়েছে যাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের বন্ধু ও সহপাঠীদের এ বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। স্কুল পর্যায়ে বিশেষত, নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নির্দেশনা ও তদারকি থাকতে হবে।