টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে গতকাল রোববার খুলেছে অফিস–আদালত। তবে এদিন কর্মচাঞ্চল্য খুব বেশি ছিল না। সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে উপস্থিতি ছিল কম। প্রায় সবখানে ছিল ঈদের আমেজ। এছাড়া গ্রামে যাওয়া অনেক পরিবারের সদস্যরা এখনো ফিরে আসেনি শহরে। আগামী শনিবার পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মূলত কর্মজীবীরা ফিরে এলেও তাদের পরিবারের সদস্যরা ফিরে আসেনি। তাই নগরও তার চিরচেনা রূপ ফিরে পায়নি। গতকালও রাস্তাঘাট ছিল প্রায় ফাঁকা। স্বাভাবিক দিনগুলোর মতো অলিগলি এখনো মুখর হয়ে উঠেনি। ঈদ উপলক্ষে গত মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত একটানা ছুটি ছিল। অবশ্য ২৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহার নির্ধারিত ছুটি ছিল। তবে মন্ত্রিসভা এই ছুটি ২৭ জুন থেকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর সঙ্গে ১ জুলাই যোগ হয় সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে তিন দিনের ছুটি হয় পাঁচ দিনে।
অফিস খোলার প্রথম দিন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, রেলওয়ে, জেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম ওয়াসাসহ নগরের বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি অফিস ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সবাই আছেন ছুটির আমেজে। কর্মকর্তা–কর্মচারীরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও করমর্দন করার পাশাপাশি পরিবার–পরিজনের খোঁজ–খবর নিচ্ছিলেন। কাজের চাপ না থাকায় অনেকে নির্ধারিত সময়ের আগে অফিস ত্যাগ করেন। এছাড়া সেবাগ্রহীতার সংখ্যাও কম দেখা গেছে অফিসগুলোতে। বিশেষ করে বিভিন্ন ব্যাংকে অন্য সময়ের তুলনায় গ্রাহক চাহিদা ছিল কম। ব্যাংকে অনেকটা অলস সময় পার করেছেন কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। গ্রাহক সংখ্যা ছিল কম। ছিল না নগদ টাকা তোলার চাপ।
এদিকে এখনো খুলেনি নগরের বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং মলগুলো। এছাড়া নিত্যদিনের যানজটও ছিল না সড়ক। অনেকটা ফাঁকা ছিল সড়ক। যাত্রীর চাপ ছিল না গণপরিবহনেও। ভোগ্যপণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজার চাক্তাই–খাতুনগঞ্জেও ছিল ঈদের আমেজ। অনেকটা সুনসান ছিল সেখানে। শ্রমিকের হাঁকডাক এবং ট্রাক–লরির দীর্ঘ সারি দেখা যায়নি। প্রায় ক্রেতাশূন্য ছিল এ বাজার। সেখানে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়া দোকানের শ্রমিক–কর্মচারীদের বেশিরভাগই ফিরে আসেনি বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।