নগরীতে হিযবুত তাহরীর সক্রিয় দুই সদস্য গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২০ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ

নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর সক্রিয় দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বাঁশখালী থানার গুনাগরী কামাল মাস্টার বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে আবু হাসান মো. তানভীর (২৮) ও একই থানার পশ্চিম ইলশা মনু মাঝির বাড়ির নুরুল আনোয়ারের ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (৩২)। কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্তবর্তী আজাদীকে বলেন, জামালখানের রীমা কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর সক্রিয় সদস্য আবু হাসান মো. তানভীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সরকারবিরোধী নয়টি পোস্টার, আঠা, একটি টিপ ছোরা ও দুইটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, তানভীর জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক মো. শহীদুল ইসলাম ও আদিলসহ অজ্ঞাতনামা আরও ছয়সাত জন আসামির নাম বলেন। সকলেই হিযবুত তাহরীর সক্রিয় সদস্য, সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী পোস্টার প্রচারণাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার লক্ষে অবস্থান করেছিল। তানভীরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে ইস্পাহানী স্কুল এন্ড কলেজের ভিতরে অভিযান চালিয়ে শহীদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। শহীদুল ইস্পাহানী স্কুল এন্ড কলেজের বিদ্যালয় শাখার সহকারী শিক্ষক। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।

কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোমিনুল হাসান আজাদীকে বলেন, পলাতক আদিলসহ আরও ছয়সাত জন অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী পোস্টার প্রচারণাসহ আসন্ন দুর্গাপূজা ও নির্বাচনকে টার্গেট করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র করেছিল। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এবং সন্ত্রাসী কায়দায় নাশকতা সৃষ্টির জন্য ঘটনাস্থলে ষড়যন্ত্র করছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। গ্রেপ্তার শহীদুল বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ছয়সাত জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুইজনকে আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতারা মানবিক ক্ষমায় পার
পরবর্তী নিবন্ধদক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি