নগরীতে শীতের আমেজ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৭ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:১০ পূর্বাহ্ণ

গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি নগরীতেও শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। ভোরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে রাস্ত-ঘাট। কচি ধানপাতায় জড়িয়ে রয়েছে মুক্তোর মতো শিশির বিন্দু। ঘাসের ওপরও ভোরের সূর্য কিরণে হালকা লালচে রঙয়ের ঝিলিক দিচ্ছে শিশির। এসব দৃশ্যই শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। করোনাভাইরাসে বিশ্বের কাঁপন এখনো বন্ধ হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, শীতে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটবে।
একই বক্তব্য শোনা গেছে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠেও। এই সতর্কতা শীত আসার আগেই সবার মাঝে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। পঞ্জিকার হিসাবে শীতের আগমন ঘটতে এখনো আঠত্রিশ দিন বাকি। কিন্তু ভাইরাসটির দ্বিতীয় থাবার জন্যই কি এবার অনেক আগেই দরজায় শীত কড়া নাড়তে শুরু করেছে? সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম আঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে ফিরছে এই সব কথা বার্তা।
এখন হেমন্ত কাল হলেও চট্টগ্রামের উপজেলা গুলোর পাশাপাশি নগর জুড়েও এবার একটু আগেই অনুভূত হচ্ছে শীত। রাত গভীর হতে হতেই শেষ রাত পর্যন্ত শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। দিনে সূর্যের তাপ থাকলেও সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমে আসছে।
এই ব্যাপারে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ফরিদ আহমেদ আজাদীকে জানান, উত্তরের বাতাস আসছে-এই কারণে শীত আস্তে আস্তে অনুভূত হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে তাপমাত্র কমতে থাকবে। তবে বঙ্গোপসাগরে যদি নিম্নচাপ বা লঘুচাপ সৃষ্টি হলে অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে। এখন কার্তিকের প্রায় শেষ পর্যায়। অগ্রাহায়নের শুরুর দিক থেকে শীত আরো ভালোভাবে অনুভূত হবে। এখন উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশে তাপমাত্র কমছে। এটা অব্যাহত থাকবে।
আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের শিলালিয়া গ্রামের মো. সেলিম জানান, ভোরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে রাস্তঘাট। গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টির কারণে চলতি বছর আগাম শীত অনুভব হচ্ছে। দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই কুয়াশায় আস্তে আস্তে গ্রামের রাস্তা-ঘাটের দৃষ্টিসীমা কমে আসতে থাকে। কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা গ্রামের মো. মহিউদ্দিন জানান, সন্ধ্যার পর থেকে শীত শীত অনুভূত হয়। গ্রামের রাস্তা গুলো রাতের বেলায় কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। শেষ রাতে ও ভোরে কুয়াশা পড়ে।
এদিকে জহুর হকার্স মার্কেট ও এর আশেপাশের এলাকাজুড়ে ফুটপাতে জমজমাট বিক্রি হচ্ছে ব্যবহৃত নানা ধরণের শীতের কাপড়। এখানের অধিকাংশ ক্রেতাই হচ্ছে দিনমজুর, রিঙাওয়ালা এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। এসব হরেক রকমের শীতবস্ত্র স্বল্পদামে কিনে শীত নিবারণ করেন এসব দরিদ্র মানুষ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা লিমন গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধস্বল্পোন্নত-উন্নয়নশীল দেশকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর