নগরীতে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই বাছাইয়ের শেষ দিন আজ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

নগরীতে দুই দিনব্যাপী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম গতকাল শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। মোট ১৬৭ জনের মধ্যে প্রথম দিন ৪২ জন জীবিত মুক্তিযোদ্ধার তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। আজ রোববার মৃত, যুদ্ধাহত বা অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার ও যাচাই-বাছাই কমিটি মহানগরীর সভাপতি মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে প্রথম দিনের কার্যক্রম পরিচালনা করেন কমিটির সদস্য সচিব ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া। কমিটির সদস্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) মনোনীত যুদ্ধকালীন গ্রুপ কমান্ডার মো. ইলিয়াস, চসিক মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সলিম উল্লাহ, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান এতে সহায়তা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুন ও ডা. মাহাফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ সরদার, নুরুল হক বীর প্রতীক, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আবছার।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া জানান, যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ প্রমাণের জন্য সংশ্লিষ্ট গেজেটসমূহে নাম প্রকাশিত হয়েছে এমন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে কমপক্ষে ৩ জন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত সহযোদ্ধাসহ প্রশিক্ষণার্থী ও সাক্ষীসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কেউ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকলে তিনি কোন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তাও ৩ জন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হচ্ছে। অন্যথায় তারা অমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২ এর ৭(ঝ) ধারা অনুযায়ী ‘প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন’ পূর্বক সরকারের নিকট সুপারিশ করার এখতিয়ার এ কাউন্সিলের উপর ন্যস্ত রয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)-এর ৭১তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উক্ত আইনের ধারা ৭(ঝ) ব্যত্যয় ঘটিয়ে জামুকার অনুমোদন ব্যতীত যেসব বেসামরিক গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের অংশ হিসেবে সেসব বেসামরিক গেজেট যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের জলসীমায় মাছ শিকার ২৮ ভারতীয় জেলে আটক
পরবর্তী নিবন্ধস্থায়ী কাঁচাবাজারের সংখ্যা বাড়ানো হোক