নগরীতে প্যারেড মাঠে হবে অনুষ্ঠান

বিজয় দিবসে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধানমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী, বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।
গতকাল সোমবার সকালে আন্দরকিল্লাস্থ নগর ভবনের কে বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে প্রস্তুতি সভা থেকে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি জানান, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী শপথবাক্য পাঠ করাবেন। প্যারেড ময়দান থেকে নগরবাসী ভার্চুয়ালি এ শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন। এ জন্য সিটি কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় সকলকে প্যারেড মাঠে উপস্থিত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন মেয়র।
তিনদিনের কর্মসূচি : আজ মঙ্গলবার প্রথম দিনের কর্মসূচি পালিত হবে। সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে চিত্রাংকন ও দেশের গানের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১০টা ১ মিনিটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি পালিত হবে ১৬ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার। এ দিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মেয়র পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। সকাল সাড়ে সাতটায় টাইগারপাসস্থ নগর ভবন চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন মেয়র।
এছাড়া সকাল আটটায় প্যারেড মাঠে চসিক পরিচালিত স্কুল-কলেজগুলোর ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমাবেশ, সাড়ে আটটায় সমাবেশে পবিত্র কোরান থেকে তেলওয়াত, প্যারেড মাঠে জাতীয় পতাকা ও চসিক পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়ানো হবে। পরে সমাবেশে ভাষণ দিবেন মেয়র। সমাবেশ স্থলে প্যারেড পরিদর্শন, কুচকাওয়াজ ও সালাম গ্রহণ অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হবে। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের ডিসপ্লে প্রদর্শন, প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। প্যারেড মাঠে ৭১’র রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কর্নার থাকবে।
তৃতীয় দিন ১৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চসিক কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে।
গতকাল প্রস্তুতি সভায় সিটি মেয়র বলেন, এবারের বিজয় দিবস ত্রিমাত্রিক রূপ লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী, স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস মানেই বাঙালি জাতির প্রাণের উল্লাস বাঁধভাঙা খুশির জোয়ার। ৭১’র চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে এই উল্লাস পালন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে এবং অনেক দেশের জন্য রোলমডেল। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই হবে অনুপ্রেরণা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, সমাজ কল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, পিডিবির উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. খোরশেদ আলী চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন, ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী আজিজুর রহমান, সিএমপির এডিসি (ট্রাফিক) রইস উদ্দিন, টি আই অনিল বিকাশ চাকমা, চকবাজার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস জাহান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদাম বেড়েছে পেঁয়াজ আদা ও রসুনের
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬