ইদানীং দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টিপাত ছাড়াই জোয়ারের পানিতে চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, কোরবাণীগঞ্জ, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, হালিশহর, কাপাসগোলা, বাদুরতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। চাক্তাই খাতুনগঞ্জে হাঁটু সমান পানি উঠে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দোকানে পানি প্রবেশ করে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেমে আসে স্থবিরতা। পাশাপাশি সাধারণ জনগণ দুর্ভোগে পড়েন। বিভিন্ন দোকান পাটের পাশাপাশি বাসাবাড়িগুলোতে পানি উঠে। ওইসব এলাকায় যান চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েন। অন্যদিকে দেখা যায়, মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরীর প্রায় এলাকা তলিয়ে যায় হাঁটু থেকে কোমর পানিতে। এ সময় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নগরবাসী গৃহবন্দী হয়ে পড়ে। চরম দুর্ভোগে পড়েন সবাই। প্রতি বছরই বৃষ্টির মৌসুমে জলাবদ্ধতা নাগরিক জীবনকে থমকে দেয়। জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারছে না। এ যেন নগরবাসীর কপালের লিখন। জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে এ পর্যন্ত উদ্যোগ নিলেও তা কাঙ্ক্ষিত সুফল দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। নগরীর খাল ও জলাশয় ভরাট, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী। জলাবদ্ধতার অবসানে সহসাৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন চাই।
এম. এ গফুর, বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়, কোরবাণীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।