নগর ভবনে হচ্ছে শেখ রাসেল ডিজিটাল লাইব্রেরি

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:৫২ পূর্বাহ্ণ

নগর ভবনের একটি কক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল লাইব্রেরি’ করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। একইসঙ্গে সংস্থাটির পরিচালিত প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এ ডিজিটাল লাইব্রেরি’র পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু কর্নার গড়ে তোলা হবে।
বিষয়টি দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, শেখ রাসেল ডিজিটাল লাইব্রেরি করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা আছে। সেটা আমরা বাস্তবায়ন করব। কয়েকদিন আগে আমাদের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এন্ড ম্যাটস নিয়ে সভা করেছিলাম। সেখানে লাইব্রেরি করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়া আমাদের যেসব স্কুল ও কলেজ আছে সেখানেও শেখ রাসেল ডিজিটাল লাইব্রেরি করব। স্কুল-কলেজে একটি করে বঙ্গবন্ধু কর্নারও থাকবে। এর মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেল সম্পর্কে জানতে পারেন।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সারা দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা ভবনের একটি কক্ষে শেখ রাসেল ডিজিটাল লাইব্রেরি গড়ে তোলা হবে। এছাড়া পরিপত্র জারি করে ১৮ অক্টোবরকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ ঘোষণা করা। ইতোমধ্যে দিবসটি পালিত হয়েছে। এদিকে শেখ রাসেল ডিজিটাল লাইব্রেরি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য দুটো সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পর্যালোচনায় সভার কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্তে বলা হয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরষ্পর সমন্বয় করে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় শেখ রাসেল ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরি করবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় পত্র দিয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরির লক্ষ্যে তাদের ভবনে একটি নির্দিষ্ট কক্ষ নির্ধারণের জন্য নির্দেশনা দিবে। এর প্রেক্ষিতে গত ৯ নভেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে চসিকসহ দেশে সিটি কর্পোরেশনগুলোর প্রধান নির্বাহীকে পত্র দিয়ে লাইব্রেরি করার জন্য সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে একটি কক্ষ বরাদ্দ দিয়ে অবহিত করার নির্দেশনা দেন। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, শেখ রাসেল দিবসকে ‘ক’ শ্রেণির দিবস হিসাবে শ্রেণিভুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রামসহ সারা দেশ থেকে লাইব্রেরি জন্য কক্ষ বরাদ্দের তথ্য পাওয়ার পর স্থানীয় সরকার বিভাগ তা গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরে পাঠাবে। অধিদপ্তরটি আসবাবপত্র ও বইয়ের তালিকাসহ সম্ভাব্য বাজেট প্রণয়ন করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅ্যাসোসিও লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন জয়
পরবর্তী নিবন্ধআগামী সপ্তাহে জেঁকে বসতে পারে শীত