নগর বিএনপির আওতাধীন ১৫ থানা ও ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ‘আন্দোলনে ত্যাগী ও পরীক্ষিত’ নেতাকর্মীদের দিয়ে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিলুপ্ত কমিটিগুলো দ্রুত পুনর্গঠন করা হবে। গতকাল সকালে নগরের লালখান বাজারে একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামীম ও সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন। থানা ও ওয়ার্ডে সম্মেলন কখন করা হবে–এমন প্রশ্নে এরশাদ উল্লাহ বলেন, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটি করার পর সম্মেলন করা হবে। গঠনতন্ত্রে যে নির্দেশনা রয়েছে সে মোতাবেক করা হবে। অতিসত্বর ত্যাগী এবং যারা আন্দোলন সংগ্রামে কষ্ট করেছেন এবং ভূমিকা রেখেছেন তাদেরকে নিয়ে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে। এরপর
পর্যায়ক্রমে ইউনিট কমিটি করে সম্মেলনের মাধ্যমে সবগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা এখানে মিলিত হয়েছি নবগঠিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে। গত ৭ জুলাই দুই সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ৪ নভেম্বর ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। দেশের এই ক্রান্তিকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের উপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে দলের তৃণমূল সুসংগঠিত করার গুরু দায়িত্ব তারই আলোকে আজকে আমরা মিলিত হয়ে মেয়াদোর্ত্তীণ থানা ও ওয়ার্ডের বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করছি।
দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এরশাদ উল্লাহ বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্দেশনা দিয়ে অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছেন। বিএনপিতে নতুন কোনো লোক প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। এখন মিছিলের পেছনে কেউ যদি চলে আসে, আমাদের তো কিছু করার নেই। তবে অনুপ্রবেশকারী কাউকে কমিটিতে নেয়া হবে না।
কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দখল–চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে নাজিমুর রহমান বলেন, আমাদের দলের কেউ দখল–চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত থাকলে, তথ্য–প্রমাণ পেলে আমরা অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। কেউ ফৌজদারি অপরাধ করে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা প্রশাসন নেবে, এখানে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করছি না।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা এবং আমাদের জাতীয় পতাকা অবমাননার জন্য নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, আমরা দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলতে চাই–বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র। পতিত ফ্যাসিবাদের মূল হোতাদের আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে এবং বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ষড়যন্ত্রমূলক অপচেষ্টা রুখে দিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মী ও দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল, কাজী বেলাল উদ্দিন, সফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, শিহাব উদ্দিন মুবিন ও মনজুর আলম মন্জুসহ আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা।