নগর বিএনপির থানা ও সাংগঠনিক ওয়ার্ড কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে নগরের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব এবং ১৩ জন যুগ্ম আহ্বায়কের সমন্বয়ে গতকাল মঙ্গলবার পৃথক ১৫টি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে এ কমিটি থানা ও ওয়ার্ডে সংগঠনের সার্বিক অবস্থা সরেজমিনে পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন জমা দেবে। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নগরের আওতাধীন ১৫টি থানা ও ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে সাংগঠনিক কমিটিগুলো গঠনের নির্দেশনা দেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গতকাল নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত বৈঠক করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ। এতে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় (চট্টগ্রাম) সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার ও হারুনুর রশিদ। প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর ডা. শাহাদত হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল হাশেম বক্করকে সদস্য সচিব করে ৩৯ সদস্যের নগর কমিটি করা হয়।
পর্যালোচনা কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর আজাদীকে বলেন, ১৫ থানার সার্বিক অবস্থা জানানোর জন্য যুগ্ম আহ্বায়কদের দায়িত্ব দিয়েছি। তারা সপ্তাহ-দশ দিনের মধ্যে জানাবেন। থানা ও ওয়ার্ড কমিটি শীঘ্রই করে ফেলব। এর আগে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে দেব। নগরের আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন আজাদীকে বলেন, যুগ্ম আহ্বায়কদের নেতৃত্বে কমিটি করে দিয়েছি। তারা থানা ও ওয়ার্ডের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এক্ষেত্রে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরবেন। এর মাধ্যমে কীভাবে সেখানে কমিটি গঠন করা যায় সে বিষয়গুলো উঠে আসবে।
১৫ কমিটিতে যারা আছেন : কোতোয়ালী থানা ও আওতাভুক্ত ওয়ার্ডের জন্য অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সদস্যরা হচ্ছে ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ আলী, হারুন জামান, আহমমুদুল আলম চৌধুরী রাসেল ও শামসুল হক। বাকলিয়া থানা ও আওতাভুক্ত ওয়ার্ডে এস কে খোদা তোতনের নেতৃত্বে আছেন নুরুল আলম রাজু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ ও ইয়াছিন চৌধুরী লিটন। চকবাজার থানা ও আওতাভুক্ত ওয়ার্ডে আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে আছেন ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, গাজী সিরাজ ও কামরুল ইসলাম। সদরঘাট থানা ও আওতাভুক্ত ওয়ার্ডে কাজী বেলালের নেতৃত্বে আছেন জয়নাল আবেদীন, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, হারুন জামান ও এসএম সাইফুল আলম।
পাঁচলাইশ থানা ও আওতাভুক্ত ওয়ার্ডে ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের নেতৃত্বে আছেন কাজী বেলাল উদ্দিন, ইস্কান্দার মির্জা, আশরাফ চৌধুরী, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু ও কামরুল ইসলাম। চান্দগাঁও থানা ও আওতাভুক্ত ওয়ার্ডে এম এ আজিজের নেতৃত্বে আছেন আনোয়ার হোসেন, মাহবুবুল আলম ও নাজিম উদ্দিন। বায়েজিদ থানা ও আওতাভুক্ত ওয়ার্ডে মোহাম্মদ মিয়া ভোলার নেতৃত্বে আছেন সৈয়দ আজম উদ্দীন, মো. ইসকান্দর মির্জা, মো. ইকবাল চৌধুরী ও এস এম আবুল ফয়েজ। খুলশী থানা ও আওতাভুক্ত ওয়ার্ডের জন্য নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে আছেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, শফিকুর রহমান স্বপন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল ও মো. শাহ আলম।
ডবলমুরিং থানা ও আওতাভুক্ত ওয়ার্ডে ইসকান্দর মির্জা, নাজিমুর রহমান, এস এম সাইফুল আলম ও নিয়াজ মোহাম্মদ খান। পাহাড়তলী থানায় আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বে আছেন শামসুল হক। হালিশহর থানা ও আওতাভুক্ত ওয়ার্ডে শাহাদাতের নেতৃত্বে আছেন মো. ইসকান্দর মির্জা, আবুল হাশেম ও মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু। আকবরশাহ থানা ও আওতাভুক্ত ওয়ার্ডে সৈয়দ আজম উদ্দিনের নেতৃত্বে আছেন মো. শাহ আলম, আহমদুল আলম চৌধুরী রাসেল ও মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।
বন্দর থানা ও আওতাভুক্ত ওয়ার্ডে এস এম সাইফুল আলমের নেতৃত্বে আছেন এম এ আজিজ, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন ও অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূইয়া। পতেঙ্গা থানা ও আওতাভুক্ত ওয়ার্ডে নাজিমুর রহমানের নেতৃত্বে আছেন মোহাম্মদ মিয়া ভোলা। ইপিজেড থানায় শাহ আলমের নেতৃত্বে আছেন নিয়াজ খান।