নগর বিএনপির আরো ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই নিয়ে ২৮ অক্টোবর পণ্ড হওয়া ঢাকার মহাসমাবেশের পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৪০ নেতকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে বলে দাবি করেছে নগর বিএনপি। এসময়ে হরতাল–অবরোধকে কেন্দ্র করে নগরের বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হয় ১৬ মামলা।
এদিকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আওতাধীন বিভিন্ন থানায় গতকাল পর্যন্ত দায়ের হয়েছে ১৯ মামলা, গ্রেপ্তার হন ২১০ জন। দক্ষিণ জেলায় ১৩ মামলায় গ্রেপ্তার হন ১৮০ জন। সবমিলিয়ে নতুন করে দায়ের হওয়া ৪৮ মামলায় ৭৩০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে দাবি করেন নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়াদের তালিকায় নগরের সাবেক সহ–সভাপতি ইকবাল চৌধুরীও রয়েছেন। সদরঘাট থানায় দায়ের করা মামলায় একই পরিবারের চার ভাইকে আসামি করা হয়েছে। বিভিন্ন থানার মামলায় নগরের সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে হুদা তোতন, মো. শাহ আলম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল হাশেম, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তিসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
বিএনপির প্রতিবাদ : আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘গণগ্রেপ্তার’ করা হচ্ছে দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল বিবৃতি দিয়ে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বিবৃতিদাতারা হচ্ছেন– বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম।
বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রামে বিএনপির নেতাকর্মীরা সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশের মধ্য দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। বিন্দুমাত্র বল প্রয়োগ না করেই ধৈর্য্যের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচি সফল করছেন। জনগণ বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হয়েছে দেখে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা আগের কায়দায় তাদের পুলিশকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। ভূয়া, গায়েবি অভিযোগ তুলে পুলিশের সদস্যরা এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিরাতে তল্লাশির নামে হয়রানি করছে, পরিবারের সদস্যদের অকথ্য নির্যাতন করছে। পুলিশের কারণে বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন ঘরে থাকতে পারছে না। পেলেই গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন গায়েবি মামলার আসামি করে দিচ্ছে। সক্রিয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিএনপির সমর্থকরা পর্যন্ত তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রামে নিজেরাই যানবাহনে আগুন দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে।