নগদ, কড়িসহ আটটি ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন

| সোমবার , ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ at ৯:০১ পূর্বাহ্ণ

দেশে চালু হতে যাওয়া ডিজিটাল ব্যাংক খোলার প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে আটটি কোম্পানি। এরমধ্যে দুটি লাইসেন্সের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে এবং প্রথম ধাপে অন্য তিনটি ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সরাসরি কার্যক্রম চালাতে পারবে। শুরুতে এই পাঁচ ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা পর্যালোচনার পর পরে আরও তিনটিকে কার্যক্রম শুরুর জন্য লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক। খবর বিডিনিউজের।

প্রথম ধাপে অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিগুলো হলমোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা নগদ, এসিআই এর ‘কড়ি’, কয়েকটি ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগ ডিজি টেন, ব্র্যাকের উদ্যোগ বিকাশ ও ব্যাংক এশিয়ার উদ্যোগ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেড।

দেশের ব্যাংকিং খাতে ডিজিটাল লেনদেনের জন্য পৃথক ব্যাংকিং ব্যবস্থা ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা দিতে লাইসেন্স পেতে একক ও যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ৫২টি আবেদন জমা পড়েছিল। সেগুলো যাচাই বাছাই করে এসব কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার প্রাথমিকভাবে নগদ ও ‘কড়ি’কে এলওআই (লেটার অব ইনটেন্ট) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালক পর্ষদ বলে জানান মুখপাত্র মেজবাউল।

তিনি জানান, এর বাইরে ১০ ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে থাকা ডিজি টেন ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাকের বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ার ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেড ব্যাংকিং খাতের হওয়ায় তাদেরকে পৃথকভাবে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ডিজিটাল ব্যাংকিং ‘উইং’ খুলে এ তিন কোম্পানি ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা দিতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ তিন কোম্পানি একটি নীতিমালার মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনা করতে পারবে। পরে তাদের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।

অপরদিকে প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়া বাকি তিন কোম্পানির নাম প্রকাশ না করে মেজবাউল বলেন, ‘যে দুটি প্রতিষ্ঠানকে এলওআই (নগদ ও কড়ি) দেওয়া হচ্ছে তাদের পারফরমেন্স মূল্যায়ন করে ছয় মাস পরে অবশিষ্ট তিনটি প্রতিষ্ঠানকে এলওআই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’ বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষযয়ে একটি পৃথক নীতিমালা জারি করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে দেশে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা বর্তমানে ৬১টি।

নগদ অর্থের ব্যবহার কমিয়ে ক্যাশলেস লেনদেন ব্যবস্থা চালু করতে গত অগাস্টে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দিতে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানো সময়ের মধ্যে একক ও যৌথভাবে ৫২টি কোম্পানি ব্যাংক পেতে আবেদন করে। মেজবাউল বলেন, এসব আবেদন তিনটি কমিটির মাধ্যমে যাচাইবাছাই করে প্রাথমিকভাবে নয়টি কোম্পানিকে যোগ্য মনে করা হয় । ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা, সম্ভ্যব্যতা, প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ১০০ নম্বরের মধ্যে যেগুলো ৬০ নম্বর পেয়েছে সেগুলোকে তালিকায় রাখা হয়। এগুলোর মধ্যে একটি কোম্পানি বীমা খাতের হওয়ায় সেটিকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএক মন্দিরে ১১ কুমারীর পূজা
পরবর্তী নিবন্ধনিউজিল্যান্ডকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে শীর্ষে ভারত