বাজারে নকল ও ভেজাল ওষুধের ছড়াছড়ি। মাঝে মাঝে ভেজাল মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও থেমে নেই ভেজাল ও নকল ওষুধ তৈরীতে। আসল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় জনস্বাস্থ্য চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্রেতারা নকল ও ওষুধের ভিড়ে আসল ওষুধের পার্থক্য করতে পারছেন না। নকল ওষুধগুলো এমনভাবে তৈরী করা হয় আসল না নকল বুঝার সাধ্য থাকে না। ফলে ভেজাল ওষুধে শিশু ও মহিলা সহ বহু মানুষের প্রাণহানি এবং লাখ লাখ সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। অনেক ডাক্তার নকল ও ভেজাল ও অনুমোদনহীন ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন। ডাক্তারের বিধান অনুসারে ওষুধ কিনে সেবন করে রোগীরা। কিন্তু সে ওষুধই এখন জীবন কেড়ে নিচ্ছে। ভেজাল ওষুধে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। দেদার বিক্রি হচ্ছে দোকানে। ভেজাল ওষুধ খেয়ে অল্প দিনের মধ্যেই বিকল হয়ে যাচ্ছে কিডনি হার্ট ও লিভার। এক শ্রেণির অসৎ ও মুনাফা লোভী ব্যবসায়ী বাজারে বিক্রি করছে এই ভেজাল ওষুধ। সারাদেশে লাখ লাখ ওষুধের দোকান রয়েছে। আইনের হাত থেকে বাঁচার জন্য তাদের লাইসেন্স আছে ঠিকই। তবে অনেক কোম্পানীর ওষুধের গুণগত মান নেই। অর্থাৎ নাম সর্বস্ব কোম্পানী। ওষুধের গুণগত মান না থাকলেও ওষুধে জীবন ধ্বংসকারী উপাদান থাকলে মানুষ কী করে বাঁচবে রোগ ব্যাধির হাত থেকে? এ জন্য ওষুধ বাজার জাত করার আগে পরীক্ষা করা জরুরি। আর নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রয় ও বিপণনের সংগে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া প্রয়োজন।
এম. এ. গফুর
বলুয়ার দিঘির দক্ষিণ–পশ্চিম পাড়, কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।