শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দেখা করেছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে। শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি এবারও চট্টগ্রাম–৯ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। গতকাল বুধবার দুপুরে তিনি নগরীর আগ্রাবাদ ও দামপাড়ায় পৃথক দুইটি স্থানে নির্বাচনী মনোনয়ন ফরমের প্রস্তাবকারী মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এবং মনোনয়ন ফরমের সমর্থনকারী আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আ জ ম নাছির গণমাধ্যমকে বলেন, এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। নওফেল আমার কাছে আসবে। আমি যাব। সুজন আমার বাসায় যাবেন, আমি উনার বাসায় যাব। এটা স্বাভাবিক সৌজন্যতা। আমরা একই দল করি। নওফেলের মনোনয়নপত্রে আমি তার সমর্থনকারী। আগামীকাল আমরা একসাথে মনোনয়নপত্র জমা দিব।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন বাবুল, চট্টগ্রাম–৮ আসনের সংসদ সদস্য ও নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নোমাল আল মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর।
পরে মতবিনিময়কালে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তিনি অসাম্প্রদায়িক ও মেধাবী ব্যক্তিত্ব। তাকে নির্বাচিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা চট্টগ্রাম–৯ আসন উপহার দেব। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি–জামায়াতের সকল অপচেষ্টা প্রতিহত করে উপযুক্ত জবাব দিতে নগর আওয়ামী লীগ রাজপথে প্রস্তুত আছে।
প্রসঙ্গত, নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে দুটি ধারায় বিভক্ত। এর একটি অংশের নেতৃত্বে আছেন আ জ ম নাছির। অন্য অংশটির নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। মহিউদ্দিনের মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা আছেন তার ছেলে নওফেলের সঙ্গে। সাবেক মেয়র নাছির এবার চট্টগ্রাম–৯, চট্টগ্রাম–১০ ও চট্টগ্রাম–১১ আসনে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে এই তিন আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন যথাক্রমে নওফেল, মহিউদ্দিন বাচ্চু ও এম এ লতিফ। তারা তিনজনই নগরের রাজনীতিতে নাছির বিরোধী হিসেবে পরিচিত।