ধৈর্যের শেষ সীমায় আওয়ামী লীগ : নানক

সরকার পতনের এক দফা ক্ষমতালিপ্সু বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রকারীদের

| সোমবার , ৫ আগস্ট, ২০২৪ at ৫:১৯ পূর্বাহ্ণ

কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে অসহযোগের প্রথম দিন পর্যন্ত যেভাবে সহিংসতা ঘটানো সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

গতকাল রোববার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নানক বলেন, আমরা শেষ কথাটুকু বলতে চাই, বিএনপিজামায়াত, শিবিরজঙ্গি গোষ্ঠীর উদ্দেশে, আমরা এই দেশ মাতৃকাকে ভালোবেসে ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য আমরা দেশবাসীকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। খবর বিডিনিউজের।

সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন ছাত্র সমাজের নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার পতনের এক দফা দাবি ক্ষমতালিপ্সু বিএনপিজামায়াত ষড়যন্ত্রকারীদের। আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের পাড়ায়মহল্লা, রাজপথে কঠিন প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও সকল হত্যা, সহিংসতার দায় আন্দোলনকারী নেতৃত্বকেই নিতে হবে। আন্দোলনের দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবেন না, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না, শান্তি চাই। সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। রোববার যারা সহিংসতা করেছে, তারা শিক্ষার্থী নয়, বিএনপিজামায়াত, ছাত্রদলছাত্রশিবির ও জঙ্গি গোষ্ঠীর ক্যাডার বাহিনীএমন দাবি করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা অভিভাবকদের আহ্বান জানাই, এই সন্ত্রাসীদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। আপনাদের সন্তানদের ঘরে রাখুন। যারা রাস্তায় আছে, তাদের ঘরে ফিরিয়ে নিতে অনুরোধ করছি।

ছাত্রসমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্র সমাজের সকল দাবি পূরণ করা হয়েছে। ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী গণভবনের দরজা উন্মুক্ত রেখেছেন। সরকার তাদের বক্তব্য শোনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু ছাত্র সমাজের কাঁধে বন্দুক রেখে সরকারকে হটিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র দেশের কৃষকশ্রমিকছাত্রআপামর জনগণ মেনে নেবে না। শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হওয়ার পরও বিএনপিজামায়াত, ছাত্রদলছাত্রশিবির সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন আজ সকালে এই সন্ত্রাসীরা বিনা কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কেও রেহাই দেয়নি। তারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ঢাকার সিএমএম আদালতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। হাসপাতালে মানবতাবিরোধী এই হামলা দিয়েই প্রমাণিত হয়, তারা শিক্ষার্থী নয়। আজকে যারা সহিংসতা করেছে তারা শিক্ষার্থী না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনির্দিষ্টকালের জন্য সব আদালত বন্ধ ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধসন্ত্রাস-সহিংসতা করলে ‘শক্তহাতে’ দমন : তথ্য প্রতিমন্ত্রী