এখন হেমন্তকাল, দরজায় কড়া নাড়ছে শীতকাল। চলতি ঋতুতে শীত গরমের এ সময়ে বেড়েছে ধুলাবালির প্রকোপ। প্রকৃতি হচ্ছে শুষ্ক থেকে শুষ্কতর। এ শীতের হাওয়া, প্রকৃতির শুষ্কতা ও রুক্ষতার ছাপ ও জলবায়ু জনিত অতি বায়ু দূষণের প্রভাব পড়ছে আমাদের শরীরে। ফলে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁপানি, অ্যাজমা সহ বেড়ে চলেছে শারীরিক নানান জটিলতা। শুধু তাই নয় শ্বাসকষ্টসহ ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ পায়তারা করছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষের দেহে। করোনার মহামারির পর মূলত আমরা পরিবেশকে দূষিত করা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা অবলম্বন করছি না বলে বতর্মানে এ ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও জটিলতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের মতে, বায়ু দূষণের এরূপ পরিবর্তনে বাংলাদেশের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষের জীবন অকাল মৃত্যুতে ঝরে পড়ে। যত্রতত্র কলকারখানার কালো ধোঁয়া, আবর্জনা, অপরিকল্পিত অবকাঠামো স্থাপনা, বৃক্ষ নিধন, রাস্তাঘাট মেরামত ও মানবসৃষ্ঠ কর্মকাণ্ডের ফলে বাতাস ও পরিবেশকে ভারী করে তোলা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এর জন্য দায়ী। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশের মধ্যে ৫ম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দূষণ আটকানো মুশকিল হলেও ধুলাবালি জনিত রোগ থেকে নিজেকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
যেমন: ধুলোবালিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলা, কৃত্রিম খাবারের বদলে টাটকা খাবার খাওয়া, ধুমপান ত্যাগ করা, শীতকালে বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ রাখার ফলে আপাতত দৃষ্টিতে ধুলোবালি দেখা না গেলেও কিন্তু আমাদের সকলের উচিৎ বাসার মেঝে, বারান্দা, জানালা নিয়মিত পরিষ্কার রাখা, বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখা, বিছানার চাদর পরিষ্কার রাখা, ঘরে পর্যাপ্ত আলো ঢোকার ব্যবস্থা করা, গাছ লাগানো (এতে করে মন ও দেহে প্রশান্তি আসে) এবং সকল ধরনের ধুলাবালি থেকে ফুসফুসকে প্রটেক্ট করার লক্ষ্যে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মাস্ক পড়া, এছাড়াও বাচ্চাদের ঘরবন্ধি না রেখে খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দেওয়া,নিয়মিত ব্যায়াম ও কায়িক পরিশ্রম করাসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা ইত্যাদি। মূলত ঘর বন্দি অসুস্থ জীবনযাপনকে না বলুন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেকে সবল করতে সচেষ্ট হোন।