ধসে পড়েছে পূর্ব গোভানিয়ার লোহার ব্রিজটি

মীরসরাই-ফটিকছড়ি যান চলাচল বন্ধ

মাহবুব পলাশ, মীরসরাই | রবিবার , ২২ জুন, ২০২৫ at ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাই উপজেলা সদরের বুক চিরে পূর্বদিকে বয়ে যাওয়া মীরসরাইনারায়ণহাট তথা ফটিকছড়ি সংযোগ সড়কের পূর্ব গোভানিয়া লোহার ব্রিজটি গতকাল শনিবার ধসে গেছে। এতে মীরসরাইফটিকছড়ি দুই উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন পূর্ব থেকে কলেজ রোডস্থ এই লোহার ব্রিজটির নিচের পুরোনো অংশ পানির তোড়ে ধসে পড়েছিল। কয়েক সপ্তাহ পূর্বে বিষয়টি সড়ক ও জনপথের স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে অবহিত করলে তারা পরিদর্শন শেষে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু দিনদিন এটির অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে গতকাল ব্রিজের পূর্বউত্তর পার্শ্ব ধ্বসে ছড়ার নিচে পড়ে যাওয়ায় সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

এই বিষয়ে ধ্বসে যাওয়া ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা আবু সাঈদ ভূঁঞা জানান, পাহাড়ি পানির তোড়ে ব্রিজটি পর্যায়ক্রমে এমনভাবে ধসে যাচ্ছে যে রাতের মধ্যে পুরো ব্রিজও পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও শেষ বিকেল নাগাদ একপাশ দিয়ে মানুষ পায়ে হেটে সাঁকোর আদলে রেলিং ধরে ধরে পারাপার হচ্ছিল। পরদিন থেকে সেভাবেও আর কেউ চলাচল করতে পারবে না এমনই শঙ্কা সকলের। আবার এভাবে পারাপার হতে গিয়ে যেকোনো সময়ে হতাহত হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। এই বিষয়ে ব্রিজের পার্শ্বের গোভানিয়া মসজিদের ইমাম মাওলানা আলাউদ্দিন বলেন, এই সড়কটি শুধু মীরসরাই পৌরসভার ২টি ওয়ার্ড নয়, খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বৃহৎ অংশ ও ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাটসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ চলাচল করে। আজ থেকে মানুষের দুর্ভোগের আর সীমা থাকবে না। এই বিষয়ে সড়ক ও জনপথ চট্টগ্রাম উত্তরাঞ্চলের আঞ্চলিক প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা এই ব্রিজটি সংস্কারের সকল ব্যবস্থা কয়েকদিন আগে থেকেই করে রেখেছি। বৃষ্টি বন্ধ না হলে ওয়েল্ডিং মেশিন ও কিছু যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যাবে নাতাই আটকেছিলাম। তবে ব্রিজটি যেহেতু ধসে পড়েছে তাই জনগণের সুবিধার্থে আমরা রোববার (আজ) সকালে কিছুটা অনুকূল আবহাওয়া পেলেই কাজ শুরু করব। আবহাওয়া অনুকূল পেলে আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার হয়ে যাবে এবং চলাচলও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্দর রক্ষা ও করিডোর বাতিলের দাবিতে রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধদেশে বছরে ১০ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হয় : বাপা